যৌন হয়রানির অভিযোগ ২ সহকর্মীর, দিল্লিতে আত্মঘাতী বহুজাতিক কোম্পানির কর্তা
২০০৭ সালে জেনপ্যাক্টে যোগ দেন স্বরূপ। বাড়ি কেরলেন এনারকুলামে। তাঁর স্ত্রী কীর্তিও কাজ করেন একই কোম্পানিতে
নিজস্ব প্রতিবেদন: যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই অভিযোগ ‘প্রমাণিত’ হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কারও করা হয় চাকরি থেকে। সেই চাপ নিতে না পেরে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন বহুজাতিক কোম্পানি জেনপ্যাক্ট-এর সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বরূপ রাজ।
সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরই দুই সহকর্মী। সেই অভিযোগের তদন্ত করে তার অফিস। তদন্তে দেখা যায় সেই অভিযোগ ‘সত্যি’। এরপরই স্বরুপ রাজকে বরখাস্ত করা হয়। জানিয়েছেন গ্রেটার নয়ডার সার্কেল অফিসার নিশাঙ্ক শর্মা।
আরও পড়ুন-রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল: দমকল পেলেন সুজিত বসু, বাকি ৩ মন্ত্রী কে কোন দফতরে দেখুন
স্বরূপ রাজ থাকতেন নয়ডার সেক্টর ১৩৭ এর একটি বহুতলে। মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রী বাড়ি ফিরে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন স্বরূপ। তাঁর দেহের পাশেই পড়ে ছিল তাঁর সুইসাইড নোট ও কোম্পানি থেকে বহিষ্কারের চিঠি।
২০০৭ সালে জেনপ্যাক্ট যোগ দেন স্বরূপ। বাড়ি কেরলেন এনারকুলামে। তাঁর স্ত্রী কীর্তিও কাজ করেন একই কোম্পানিতে। বছর দুয়েক আগেই তাঁদের বিয়ে হয়। স্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন, অফিসের দুই সহকর্মী আমার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। কিন্তু বিশ্বাস কর, কোনও কিছুই আমি করিনি। তুমি ও আমাদের পরিবার নিশ্চয় সেটা বুঝবে। অফিসের সবাই জানে। কিন্তু আমি এনিয়ে দুনিয়ার মুখোমুখী হতে পারছি না।
আরও পড়ুন-"নিষেধাজ্ঞা অযৌক্তিক, রথযাত্রা সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি"
উল্লেখ্য, এর আগে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে সাংবাদিক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে। তাঁকে শেষপর্যন্ত মন্ত্রিত্বও ছাড়তে হয়। এছাড়াও একাধিক বলিউড অভিনেতার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছিল। তবে আত্মঘাতী হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি।