পাকিস্তানি নৌকা উড়িয়ে দেওয়ার তত্ত্ব পেশ করায় নৌ বাহিনীর ডিআইজি-কে শো কজ নোটিশ কেন্দ্রের
মঙ্গলবার ভারতীয় নৌ বাহিনীর অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক ডিআইজি বিকে লোশালিকে শো কজ নোটিশ ধরালো কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নতুন বছরের প্রাক্কালে সন্দেহভাজন জঙ্গি বহনকারী পাকিস্তানি নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় নৌ বাহিনী। সরকারি বিবৃতির ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে গিয়ে লোশালি এই মন্তব্য করেন। যাত জেরে ঘোর বিপাকে পরে কেন্দ্র সরকার। যার ফলে লোশালির বিরুদ্ধে এই নোটিশ জারি করা হল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল বিস্ফোরক ভর্তি এই পাকিস্তানি নৌকায় নিজে থেকেই বিস্ফোরণ হয়। সরকারী বিবৃতি অনুযায়ী, নৌকায় উপস্থিত সন্দেহভাজন জঙ্গিরাই বিস্ফোরক ভর্তি এই নৌকায় বিস্ফোরণ ঘটায়, ফলে সেটি ডুবে যায়।
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার ভারতীয় নৌ বাহিনীর অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক ডিআইজি বিকে লোশালিকে শো কজ নোটিশ ধরালো কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। নতুন বছরের প্রাক্কালে সন্দেহভাজন জঙ্গি বহনকারী পাকিস্তানি নৌকা ডুবিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় নৌ বাহিনী। সরকারি বিবৃতির ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে গিয়ে লোশালি এই মন্তব্য করেন। যাত জেরে ঘোর বিপাকে পরে কেন্দ্র সরকার। যার ফলে লোশালির বিরুদ্ধে এই নোটিশ জারি করা হল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল বিস্ফোরক ভর্তি এই পাকিস্তানি নৌকায় নিজে থেকেই বিস্ফোরণ হয়। সরকারী বিবৃতি অনুযায়ী, নৌকায় উপস্থিত সন্দেহভাজন জঙ্গিরাই বিস্ফোরক ভর্তি এই নৌকায় বিস্ফোরণ ঘটায়, ফলে সেটি ডুবে যায়।
কিন্তু, লোশালির মন্তব্যের জেরে ভারতের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক আক্রমণ সাজাবার অবকাশ পেয়ে যায় পাকিস্তান। সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওজা আসিফ মন্তব্য করেছেন ''শান্তির আহ্বানের পিছনে ভারতের জঘন্য রূপটি আরও একবার প্রকাশে চলে এল।''
খাওজার দাবি করেন চারজন 'নিরাপরাধ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে ভারতীয় সেনা।', আন্তর্জাতিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখানোর ভারতের এই অভ্যাস বহু পুরনো।
যদিও, দিল্লির তরফ থেকে জানানো হয় এই নৌকাটির উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ২৬/১১-এর ভয়াবহতার পুনরাবৃত্তি। যদিও বিদেশ মন্ত্রক কিন্তু এখনও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে, এই বিষয়ে সরকারি দাবির উপর সন্দেহ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
এই সুযোগে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরাও। এই বিষয়ে সরকারকে তাদের স্পষ্ট বক্তব্য জানানোর দাবি জানিয়েছে তারা। ডিআইজিকে শো কজের বিরোধীতায় করেছে তারা। অন্যদিকে, আম আদমি পার্টির তরফে জানানো হয়েছে এই বিতর্ক ভাল করেই প্রমাণ করে দিল যে, এই সরকারের এক হার কী করে তার খবর অন্য হাতের কাছে থাকে না।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি প্রশ্ন তুলেছেন যদি সত্যিই নৌকাটি জঙ্গিদের হয়ে থাকে তাহলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কেন সেই নৌকাকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ছিলেন। তিনি টুইট করে লিখেছেন ''একই ধরণের কার্যপ্রণালীর মধ্যের ভুতুড়ে মিল। আলফা ইমেজ আর মিথ্যে পৌরুষ প্রতিষ্ঠার ভুয়ো এনকাউন্টার সিনড্রোম।''
সূত্রে খবর, লোশালির সম্ভবত কোর্ট মার্শাল করা হবে। চলে যেতে পারে তাঁর চাকরিও।