উত্‍সবের মরশুমকে দুষলেন অর্থমন্ত্রী

অনাবৃষ্টির পর খলনায়কের ভুমিকায় উত্‍সবের মরসুম। এভাবেই খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির জন্য একের পর এক সাফাই দিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়।

Updated By: Nov 3, 2011, 04:52 PM IST

দেশে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি ১২.২১ শতাংশে পৌঁছল। প্রধানত সবজি, ডালজাতীয় শস্য, ফল এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বাড়ার ফলেই এই মুদ্রাস্ফীতি। এই হিসাব অক্টোবরের ২২ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহের। খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি নির্ধারণকারী পাইকারি মূল্য সূচক এর আগের সপ্তাহে ছিল ১১.৪৩ শতাংশে। গত বছর অক্টোবর মাসের একই সময়ে খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতি হার ছিল ১৩.৫৫ শতাংশ। সরকারের প্রকাশিত হিসেব অনুযায়ী গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সবজির ২৮.৮৯ শতাংশ, ডালজাতীয় শস্যের ১১.৬৫ শতাংশ, ফলের ১১.৬৩ শতাংশ এবং দুগ্ধপণ্যের ১১.৭৩ শতাংশ হারে দাম বেড়েছে। ক্রমাগত খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় `গভীর উদ্বেগের কারণ` হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি একে উত্‌সবের মরসুমে সাময়িক ভাবে চাহিদা বৃদ্ধির ফল বলেও বর্ণনা করেছেন। বাজারে অর্থের জোগান কমিয়ে মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টায় রিসার্ভ ব্যাঙ্ক মার্চ ২০১০ থেকে মোট ১৩ বার সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে। আর্থিক নীতি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক পর্যালোচনাতে সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে চাহিদা-জোগানের অসঙ্গতির কারণে আগামি ডিসেম্বর পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। ২০১২ সালের মার্চের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

.