পেট্রোলে সেস ছাড়ের প্রস্তাব প্রণবের
সাধারণ মানুষ পেট্রোলের জন্য যে দাম দেন তার মধ্যে থাকে কেন্দ্র ও রাজ্যের ধার্য করা পরোক্ষ কর এবং সেস। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোরের মধ্যেই এবিষয়ে পাল্টা চাপের কৌশল নিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। পেট্রোলের দামের ওপর রাজ্যগুলির ধার্য করা পরোক্ষ কর ও সেস কমানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছেন তিনি। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হলেও এখনও পর্যন্ত কর ও সেসে ছাড় দেওয়া নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাধারণ মানুষ পেট্রোলের জন্য যে দাম দেন তার মধ্যে থাকে কেন্দ্র ও রাজ্যের ধার্য করা পরোক্ষ কর এবং সেস। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোরের মধ্যেই এবিষয়ে পাল্টা চাপের কৌশল নিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। পেট্রোলের দামের ওপর রাজ্যগুলির ধার্য করা পরোক্ষ কর ও সেস কমানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছেন তিনি। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হলেও এখনও পর্যন্ত কর ও সেসে ছাড় দেওয়া নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পেট্রোলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবিতে কলকাতায় মিছিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এনিয়ে সরব না হলেও রাস্তায় নেমেছেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক কলকাতা সফরের সময়েও তাঁর কাছে পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি বাজারের নিয়মে পেট্রোলের দাম কমায়। দু টাকা দাম কমলেও তিনি যে এতে খুশি নন, তা জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ মে ডায়মন্ড হারবারে একটি অনুষ্ঠানে তিনি পেট্রোলের বর্ধিত দাম সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছিলেন।
রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ার পর সেসে ছাড় দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, আর্থিক সংকটের জেরে পেট্রোলের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত সে পথে হাঁটেননি তিনি। এবিষয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ধার্য করা পরোক্ষ কর ও সেস কমিয়ে তারপর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলে সেই প্রতিবাদের ধার আরও শানিত হতো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কংগ্রেস শাসিত কেরালা, উত্তরাখণ্ড ও বিজেপি শাসিত গোয়া পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে পদক্ষেপ করলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি। যদিও, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সময় রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছিলেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেট্রোলের দামের ওপর কেন্দ্র যে কর নেয় তার একটা অংশ রাজ্যও পায়। তাই, রাজ্যগুলি তাদের ধার্য করা অতিরিক্ত কর ও সেসে ছাড় দিলে তা মোটেও অযৌক্তিক হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তিও মোটের ওপর একইরকম। আর রাজ্যগুলির বক্তব্য, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তাই দাম কমানোর দায় তাদেরই। এভাবেই চলছে চাপান-উতোর। আর চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি থেকে আম-জনতাকে রেহাই দিতে রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী সে পথে হাঁটেন কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।