দু-দশ হাজার নয়, ৫.৫ লাখে বিক্রি হল এই মাছ

গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘোল মাছের দেহাংশ থেকে ওষুধ তৈরি হয়। এই মাছের চামড়ায় কোলেজন নামে একটি রাসায়নিক মেলে। যা থেকে তৈরি হয় দামি প্রসাধনী। এছাড়া অস্ত্রোপচারের পর যে সুতো দিয়ে ক্ষত সেলাই করা হয়, তাও তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় এই রাসায়নিক।

Updated By: Aug 7, 2018, 12:09 PM IST
দু-দশ হাজার নয়, ৫.৫ লাখে বিক্রি হল এই মাছ

নিজস্ব প্রতিবেদন: সপ্তাহদুয়েক আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার ১১ ফটক বাজারে ৩ কেজির ইলিশ দেখতে ভিড় জমিয়েছিল মানুষ। ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল সেই মাছ। তবে এবার মুম্বইয়ে যে মাছ ধরা পড়ল তা ভেঙে দিয়েছে সব রেকর্ড। মহারাষ্ট্রের পালঘরে ৫.৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে এক 'ঘোল' মাছ। 

সামুদ্রিক এই মাছের সমস্ত দেহাংশ কাজে লাগে। ফেলা যায় না কিছুই। তাই আকাশছোঁয়া দাম এই মাছের। সোমবার যে মাছটি ধরা পড়ে তার ওজন ছিল ৩০ কিলোগ্রাম। মহেশ ও ভরত নামে ২ মত্স্যজীবী মাছটি ধরেন। বাজারে আনতেই বুঝতে পারেন মাছটি বেশ দামি। চড়া দর দিতে শুরু করেন ক্রেতারা। শেষ পর্যন্ত নিলামে ৫.৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয় একটি মাছ। 

গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘোল মাছের দেহাংশ থেকে ওষুধ তৈরি হয়। এই মাছের চামড়ায় কোলেজন নামে একটি রাসায়নিক মেলে। যা থেকে তৈরি হয় দামি প্রসাধনী। এছাড়া অস্ত্রোপচারের পর যে সুতো দিয়ে ক্ষত সেলাই করা হয়, তাও তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় এই রাসায়নিক। ভারত থেকে এই মাছ সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও জাপানে রফতানি হয়। 

জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তিনটি হাতির মৃত্যু, এবার ঝাড়গ্রামে

মত্স্যজীবীরা জানিয়েছেন, সব থেকে সস্তা ঘোল মাছও ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকায় বিক্রি হয়। চলতি বছরের মে মাসেই এক মত্স্যজীবী এরকমই একটি ঘোল মাছ ধরেছিলেন। ৫.১৬ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছিল মাছটি। 

 

.