অর্থমন্ত্রীর জমা-খরচের খাতা
কৃষি, গ্রামোন্নয়ন, পরিকাঠামোয় বড় অঙ্কের বরাদ্দ। সঙ্গে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ এবং সেনায় এক পদ এক পেনশন চালুর দায়। কিন্তু কোথা থেকে আসবে এই বিপুল অর্থ? কী বলছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর জমা-খরচের খাতা?
ওয়েব ডেস্ক: কৃষি, গ্রামোন্নয়ন, পরিকাঠামোয় বড় অঙ্কের বরাদ্দ। সঙ্গে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ এবং সেনায় এক পদ এক পেনশন চালুর দায়। কিন্তু কোথা থেকে আসবে এই বিপুল অর্থ? কী বলছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর জমা-খরচের খাতা?
বাজেট প্রস্তাব বলছে আগামী আর্থিক বছরে সরকারের মোট খরচের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৯ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনা বহির্ভূত, দুই খাতেই বরাদ্দ বাড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সব করযোগ্য পরিষেবার ওপর ০.৫ শতাংশ হারে কৃষি কল্যাণ সেস বসানোর কথা বলেছেন অরুণ জেটলি। আয় বাড়াতে বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি ডিভিডেন্ডের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ করের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত আয় বার্ষিক ১ কোটির বেশি হলে সারচার্জ ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৫ শতাংশ। ১০ লাখ টাকার বেশি দামের গাড়ি এবং নগদে ২লাখ টাকার বেশি কেনাকাটায় ১ শতাংশ কর বসিয়েছেন অরুণ জেটলি। পেট্রোল গাড়িতে ১ শতাংশ, ডিজেল গাড়িতে ২.৫ শতাংশ এবং এসইউভি-র দামের ওপর ৪ শতাংশ পরিকাঠামো সেস বসছে।
১হাজার টাকা বা তার বেশি দামের রেডিমেড পোশাকের ওপর উত্পাদন শুল্ক কমপক্ষে দু-শতাংশ বাড়ছে। কয়লার ওপর পরিবেশ সেসের পরিমাণ প্রতি টনে ২০০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৪০০ টাকা। বিড়ি বাদে অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ছে। যে আয় এতদিন গোপন ছিল, কর-সারচার্জ-জরিমানা মিলিয়ে তার ৪৫ শতাংশ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করলেই মামলা-মোকদ্দমা থেকে মুক্তি মিলবে। ইচ্ছাকৃতভাবে আয় গোপন করলে করের ওপর ২০০ শতাংশ অর্থ জরিমানা দিতে হবে।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার সময় ৬০ শতাংশ অর্থের ওপর কর দিতে হবে বলে প্রস্তাব দিয়েছেন অরুণ জেটলি। বাড়বে আয়। এই আশায় খরচ বাড়লেও রাজকোষ ঘাটতিকে জিডিপির ৩.৫ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন অরুণ জেটলি।