মনমোহন-রাজনের সময়েও খারাপ অবস্থা ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির, সাফাই অর্থমন্ত্রীর

মঙ্গলবার, কলম্বিয়া ইউনির্ভাসিটি’স স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে নির্মলা সীতারামন বলেন, “তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের সময়েও খারাপ অবস্থা ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির।”

Updated By: Oct 16, 2019, 02:11 PM IST
মনমোহন-রাজনের সময়েও খারাপ অবস্থা ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির, সাফাই অর্থমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যাঙ্ক ঝিমোচ্ছে। হাজার দাওয়াই দিয়েও সারছে না রোগ। অতঃপর ‘চিকিত্সকের’ সাফাই, এই রোগ আগেও ছিল। ঠিক এভাবেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আর্থিক মন্দার দায় চাপালেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঘাড়ে। দোসর হিসাবে জুড়লেন রাঘুরাম রাজনের নামও। অর্থমন্ত্রীর দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির করুণ পরিস্থিতি মনমোহন-রঘুরামের জমানাতেও ছিল।

মঙ্গলবার, কলম্বিয়া ইউনির্ভাসিটি’স স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে নির্মলা সীতারামন বলেন, “তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের সময়েও খারাপ অবস্থা ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির।” উল্লেখ্য, দেশের অর্থনীতির সঙ্কট এই মুহূর্তে কাটার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। শিল্পোত্পাদন নেমেছে তলানিতে। ছেঁটে ফেলা হয়েছে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা। নানা পদক্ষেপ করা সত্ত্বেও প্রবল সমালোচনার মুখে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

আরও পড়ুন- অযোধ্যা মামলায় হিন্দু মহাসভার নথি ছিঁড়লেন বিপক্ষের আইনজীবী, এজলাস ছাড়ার হুঁশিয়ারি প্রধান বিচারপতির

মনমোহন জমানায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসাবে নিযুক্ত হলেও মোদী সরকারের প্রথম পর্বে পাক্কা ৩ বছর কাটিয়েছেন রঘুরাম রাজন। নোটবন্দি হয়েছে তাঁর সময়ই। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতাও করেছিলেন রাজন। ২০১৩ সালে ৬ অগস্ট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনের আশ্বাস ছিল, রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে পনরুজ্জীবিত করাটাই তাঁর প্রথম অগ্রাধিকার হবে। সেই পথেই হেঁটেছিলেন তিনি। তাঁর জমানায় উল্লেখযোগ্য কমে মূল্যবৃদ্ধির হার। অনাদায়ী ঋণ জর্জরিত ব্যাঙ্কগুলির স্বাস্থ্য ফেরাতে তৈরি হয় নয়া ঋণনীতি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়া পদক্ষেপে জেরে মোদী সরকারের সঙ্গে সংঘাতেও জড়াতে হয় তাঁকে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গভর্নের পদ থেকে ইস্তফা দেন রাজন। কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত রঘুরাঘ রাজন বলেছিলেন, “স্বল্পমেয়াদে নোটবন্দির প্রভাব ভয়ঙ্কর হতে পারে।”

.