যুদ্ধকালীন তত্পরতায় ১০ ঘণ্টার অপারেশন, গ্রেফতার বুনো হাতি
যেন যুদ্ধ। হাতি ধরতে কোয়েমবাটোর কালঘাম ছুটল প্রশাসনের। বছর খানেক ধরে গোটা এলাকাকে তটস্থ করে রেখেছিলেন গজরাজ। অভিযোগের শেষ ছিল না। তাঁকে গ্রেফতার করতে ১০ ঘণ্টার এলিফ্যান্ট ক্যাপচার অপারেশন চলল কোয়েমবাটোর। ধরে পড়েছ। বনদফতর পরিকল্পনা হাতিটিকে কুনকি হাতি বানানো হবে।
ব্যুরো: যেন যুদ্ধ। হাতি ধরতে কোয়েমবাটোর কালঘাম ছুটল প্রশাসনের। বছর খানেক ধরে গোটা এলাকাকে তটস্থ করে রেখেছিলেন গজরাজ। অভিযোগের শেষ ছিল না। তাঁকে গ্রেফতার করতে ১০ ঘণ্টার এলিফ্যান্ট ক্যাপচার অপারেশন চলল কোয়েমবাটোর। ধরে পড়েছ। বনদফতর পরিকল্পনা হাতিটিকে কুনকি হাতি বানানো হবে।
হাতি ধরতে পুরো যুদ্ধকালীন তত্পরতা। দস্যি হাতির ভয়ে তটস্থ ছিল মাদুক্কারাই এলাকা। এই নিয়ে তামিলনাডুর কোয়ামবাটোর বনদফতর, প্রশাসনের কাছে কম অভিযোগ জমা পড়েনি। সেই হাতি ধরতেই গোটা জঙ্গল জুড়ে ১০ ঘণ্টার অপারেশন চলল। অপারেশনে অংশ নেয়নি কে! বনকর্মীরাতো ছিলেনই, ছিলেন প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের ১০০ জন আধিকারিক, পশু চিকিত্সক, পুলিস ও রেল কর্মীরা।
হাতি ধরা হল 'খেদা' পদ্ধতিতে। মানে হাতিকে তাড়িয়ে এনে হাতি ধরা। হাতি ধরাতো আর মুখের কথা নয়। বহু দূর থেকে হাতি মানুষের অস্তিত্ব টের পায়। ব্যবহার হয় কুনকি হাতি। কুনকি মানে পোষ মানা হাতি। কোয়ামবাটোরে হাতি ধরতেও ব্যবহার হয়েছে কুনকি।
হাতি ধরা পড়তেই উত্সবের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বনদফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, ধরা পড়া এই বুনো হাতিটিকে এবার কুনকি বানানো হবে।