ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিকিম

সিকিম-নেপাল সীমান্তের মঙ্গনে ভূপৃষ্ঠের মাত্র দশ কিলোমিটার নীচে ছিল ভূমিকম্পের এপিসেন্টার। ফলে ক্ষয়ক্ষতি আর হতাহতের নিরিখে পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি মারাত্মক আকার নিয়েছে সিকিমেই।

Updated By: Sep 27, 2011, 11:43 PM IST

সিকিম-নেপাল সীমান্তের মঙ্গনে ভূপৃষ্ঠের মাত্র দশ কিলোমিটার নীচে ছিল ভূমিকম্পের এপিসেন্টার। ফলে ক্ষয়ক্ষতি
আর হতাহতের নিরিখে পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি মারাত্মক আকার নিয়েছে সিকিমেই।
এতটাই তার ভয়াবহতা যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উনিশশো পঞ্চাশের পর এত মারাত্মক বিপর্যয দেখেনি ভারত-চিন
সীমান্তের এই রাজ্যটি। এই বিপর্যয়ে প্রায় গোটা সিকিম তছনছ হয়ে গেলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উত্তর আর পশ্চিম সিকিমের। ঘটনার পরেই ক্ষয়ক্ষতি আর হতাহতের খবর আসতে
থাকে রাজধানী গ্যাংটক থেকে। ধস নেমে বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যের বহু রাস্তা। উদ্ধারে নামে বায়ুসেনার পাঁচটি হেলিকপ্টার। সবকিছু বুঝে ওঠার আগে, মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যেই দ্বিতীয় বার কেঁপে
উঠেছিল সিকিম। ৪.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল গ্যাংটক থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরের একটি দুর্গম অঞ্চল।
পেগং-এ ভেঙে পড়ে আইটিবিপি ভবন। তারপর তীব্র ঠাণ্ডা আর বৃষ্টি অগ্রাহ্য করে খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটিয়েছেন গ্যাংটকের
মানুষ। ঘরে ফেরার আর সাহস হয়নি। পরের দিন সকাল থেকে ধ্বংসের ছবি যত স্পষ্ট হয়েছে, আতঙ্ক বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। চারদিকে
বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপ, রাস্তায় ফাটল, ধস। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া
যায় উত্তর সিকিমের রাংপো, ডিকচু, সিংটাম ও চুংথাম থেকে।
ধসে বহু এলাকা সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, ফোন পরিষেবাও কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। দিন কয়েক পরে ফের ভূমিকম্প। যদিও তার তীব্রতা ছিল অনেক কম, কিন্তু আরও একবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পাহাড়বাসী। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে বেশ কয়েকদিন কেটে যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, রাহুল গান্ধী সিকিমে যান। সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে আসেন। ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও এখনও সম্পূর্ণ স্বাভিবিক হতে পারেনি সিকিম। এখনও ছন্দে ফেরার মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে সিকিম।

.