বিয়ের মন্ডপে মাতলামি বরের, জামা-প্যান্ট খুলিয়ে মোক্ষম দাওয়াই কন্যাপক্ষের
বিয়েতে কন্যাপক্ষের দেওয়া দান সামগ্রী,তত্ত্ব, গহনা সমস্ত ফেরত নিয়ে নেয় রিঙ্কির পরিবার। এরপর ছেলের জামা-কাপড় খুলে নিয়ে বাড়ি পাঠানো হয় বরযাত্রীকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: টলতে টলতে বিয়ের মন্ডপে ঢুকেছিলেন পাত্র। মদ্যপ হবু বরকে মন্ডপেই নাকচ করলেন বছর কুড়ির কন্যা। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ছপরা জেলার তরৈয়া থানার ডুমরি ছপিয়া গ্রামে। ছপরার মফসসল থানা এলাকার মগাইডিহা গ্রাম থেকে ওই গ্রামে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন মদ্যপ শিবপূজন সাহের ছেলে বাবলু কুমার। শুধু তিনিই নন, স্থানীয় সূত্রে খবর, বরযাত্রীর অনেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এরপরই শুরু হয় গোলমাল।
আরও পড়ুন: জেনে নিন সম্পর্কে ভাল থাকার ৫টি অব্যর্থ কৌশল!
এদিন বিয়ে করতে এসে মন্ডপে কার্যত মাতলামি জুড়েছিলেন বর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের রীতি-রেওয়াজ চলাকালীন অভব্য আচরণ করছিলেন পাত্র এমনকী ঠিক মতো দাঁড়াতেও পারছিলেন তিনি। এই অবস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে মন্ডপ থেকে সটান বেরিয়ে যান পাত্রী রিঙ্কি কুমারী। আত্মীয়-স্বজনরা প্রথমে তাঁকে বিয়েতে রাজি করানোর চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন যুবতি।
এ তো গেল মেয়ের সিদ্ধান্ত। এরপর কন্যাপক্ষও যা করলেন তাতে ঢের শিক্ষা হয়েছে বরপক্ষের। এদিন পাত্র এবং তাঁর পরিবারকেও দেওয়া হল মোক্ষম দাওয়াই। পরেরদিন সকাল পর্যন্ত আঁটকে রাখা হয় পাত্র এবং তাঁর সঙ্গে আসা প্রত্যেককে। এখানেই শেষ নয়, বিয়েতে কন্যাপক্ষের দেওয়া দান সামগ্রী,তত্ত্ব, গহনা সমস্ত ফেরত নিয়ে নেয় রিঙ্কির পরিবার। এরপর ছেলের জামা-কাপড় খুলে নিয়ে বাড়ি পাঠানো হয় বরযাত্রীকে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ থেকেই মদ নিষিদ্ধ করা হয় বিহারে। তা সত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি যুবতির এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাত জানিয়েছে তাঁর পরিবার সহ স্থানীয় প্রশাসন।