দোলে জীবনের ফিকে হয়ে যাওয়া রঙ ফিরল ওঁদের জীবনে
২০১৪ সালের দোল উত্সব ওঁরা মনে রাখবেন চিরদিন। কারণ বহু বছর পর এবারের দোল তাঁদের জীবনের ফিকে হয়ে যাওয়া রঙকে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে। নতুন আঙ্গিকে। পুরনো প্রথার জাল ছিঁড়ে এবছর হোলির রঙে মাতলেন বৃন্দাবনের বিধবারা।
----------------------------------------
২০১৪ সালের দোল উত্সব ওঁরা মনে রাখবেন চিরদিন। কারণ বহু বছর পর এবারের দোল তাঁদের জীবনের ফিকে হয়ে যাওয়া রঙকে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে। নতুন আঙ্গিকে। পুরনো প্রথার জাল ছিঁড়ে এবছর হোলির রঙে মাতলেন বৃন্দাবনের বিধবারা।
এভাবেই পরিবারের ঔদাসীন্য আর সমাজের অবহেলা, ওই দুইয়ের সমন্বয়ে অভ্যস্ত হয়ে কোনও রকমে চলছিল দিন গুজরান। বর্ণহীন ফিকে জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে বেঁচে থাকার ন্যনূতম ইচ্ছাটুকু সম্বল করেই দিন কাটাচ্ছিলেন বৃন্দাবনের আশ্রয় সদনের আবাসিক প্রায় দু হাজার বিধবা। একঘেয়ে জীবনযাত্রার মাঝেই কোথাও যেন হারিয়ে যাওয়া জীবনের স্বপ্ন দেখতেন ওঁরা। আর তাঁদের সেই স্বপ্ন পূরণেই এগিয়ে এসেছে সুলভ ইন্টারন্যাশনাল। প্রাচীন প্রথা ভেঙে দোল উত্সবে সামিল হলেন বৃন্দাবনের এই বিধবারা।
তবে আবীর নয়, নানান রঙের ফুলের পাপড়ি দিয়ে ফুলদোলে মাতলেন ওঁরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এইসব বিধবাদের দেখভালের দায়িত্ব নেয় সুলভ ইন্টারন্যাশনাল। ভিক্ষে করে পেট চালানো নয়, স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে এই সব মহিলাদের আত্মনির্ভর করার কাজে ব্রতী হয়েছে এই সংগঠন। এবার তাঁদের এক নতুন প্রয়াস। সমাজের যাবতীয় প্রাচীন প্রথাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিধবাদের দোল উত্সবে সামিল করতে পেরে খুশি সংগঠনের আধিকারিকেরা।
এ যেন এক চূড়ান্ত অসম্ভবকে সম্ভব করা। যে ইচ্ছা এতোদিন মনের কোণে লুকিয়ে রাখা ছিল সন্তর্পণে, এবার সেই ইচ্ছাই বাস্তবায়িত হল। পুরণো প্রথা ভেঙে জীবনকে নতুনভাবে শুরু করার জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ হলেন ওঁরা।