অনশনে বসার হুমকি দিলেন দেবযানীর বাবা, অভিযোগের পাহাড় তৈরি করছেন প্রীত

সুবিচার না পেলে অনশনে বসার হুমকি দিলেন দেবযানীর বাবা উত্তম খোবরাগাড়ে। দেবযানীর বাবা জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী ও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু সুবিচার না পেলে অনশনে বসবেন। উত্তম খোবরাগাড়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে রীতিমতো ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। এফআইআর-এ সঙ্গীতা রিচার্ডের বেতন বলে যা দেখানো হয়েছে, তা আসলে দেবযানীর মাইনে।

Updated By: Dec 19, 2013, 09:25 PM IST

সুবিচার না পেলে অনশনে বসার হুমকি দিলেন দেবযানীর বাবা উত্তম খোবরাগাড়ে। দেবযানীর বাবা জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী ও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু সুবিচার না পেলে অনশনে বসবেন। উত্তম খোবরাগাড়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে রীতিমতো ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। এফআইআর-এ সঙ্গীতা রিচার্ডের বেতন বলে যা দেখানো হয়েছে, তা আসলে দেবযানীর মাইনে।

দেবযানী খোবরাগাড়ের বিরুদ্ধে কার্যত অভিযোগের পাহাড় তৈরি করেছেন মার্কিন অ্যাটর্নি প্রীত ভারারা। পাল্টা তোপ দেগে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক বলল, কোনও অভিযোগই আইন মোতাবেক আনেনি মার্কিন প্রশাসন। বিবৃতি এসেছে নিউইয়র্কে ভারতীয় দূতাবাস থেকেও। যে পরিচারিকাকে ঘিরে বিতর্ক, তার বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে দূতাবাসের বিবৃতিতে। আর দেবযানীর আইনজীবীর দাবি, আইনি লড়াইয়ে জিতবেন তারাই।

মার্কিন আইন ভাঙার অভিযোগে কাঠগড়ায় ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ে। পরিচারিকাকে কম বেতন দেওয়া থেকে পরিচারিকার ভিসায় জালিয়াতি। দুঃখপ্রকাশ করলেও দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ধার কমাতে রাজি নয় ওয়াশিংটন। পাল্টা তোপ দেগেছে ভারতও। বিদেশমন্ত্রক বলছে, দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার সময় কোনও আইনই মানেনি মার্কিন প্রশাসন।

আর যে পরিচারিকাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক, তার সম্পর্কেও একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্টের ভারতীয় দূতাবাস।

গত ২৩ জুন থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না দেবযানী খোবরাগাড়ের পরিচারিকা সঙ্গীতা রিচার্ডের। নিউইয়র্কে ফরেন মিশনে তখনই বিষয়টি জানানো হয়েছিল বলেও দাবি করেছে ভারতীয় দূতাবাস।

এখানেই শেয় নয়। অন্য জায়গায় কাজ করার জন্য নিজের পাসপোর্ট এবং ভিসার স্টেটাস বদলাতেও নাকি রীতিমতো ব্ল্যাকমেল করছিলেন সঙ্গীতা রিচার্ড।

গত ৮ জুলাই সঙ্গীতা রিচার্ডের পাসপোর্ট প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তারপর তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও করা হয়েছিল।

এমনকি দেবযানী খোবরাগাড়ের বাড়ি থেকে টাকা, মোবাইল ফোন আর গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির অভিযোগে একসময় সঙ্গীতাকে গ্রেফতারের জন্য আর্জিও জানানো হয়।

দেবযানী খোবরাগাড়ের কারণেই নিউইয়র্কে জেল খাটছেন সঙ্গীতা রিচার্ড। এই অভিযোগ জানিয়ে গত ১৫ই জুলাই দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন সঙ্গীতার স্বামী। পরে তা আবার প্রত্যাহারও করে নেন।

গত ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গীতা রিচার্ডের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সেই পরোয়ানা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পাঠানো হয়েছিল। যাতে ভারতীয় কনসুলেট মারফত এদেশে ফেরত পাঠানো হয় সঙ্গীতাকে।

এরপর ১২ ডিসেম্বর গ্রেফতার হয়ে গেলেন দেবযানী খোবরাগাড়ে।

সঙ্গীতা রিচার্ডের হয়ে জোরদার সওয়াল করছেন মার্কিন অ্যাটর্নি। কিন্তু, পরিচারিকার বিরুদ্ধেও উঠে আসছে একাধিক অভিযোগ। দূতাবাস মারফত সেই অভিযোগ বহুবার মার্কিন প্রশাসনকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু, তার প্রেক্ষিতে নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা। অথচ দেবযানীর বিরুদ্ধে মার্কিন অ্যাটর্নি কোমর বেঁধে নেমে পড়ায় ক্রমশ জোরালো হচ্ছে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।

.