পরিবেশবান্ধব বাজির 'সুপ্রিম' নির্দেশে অন্ধকারে দিল্লি বাজি বিক্রেতারা
দূষণে লাগাম টানতে দীপাবলিতে শুধু 'গ্রিন ক্র্যাকার্স' পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আলোর উত্সবের আগে অন্ধকারে দিল্লির বাজিবাজার। চলতিবছরও দিল্লির দীপাবলিতে শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে বাজি বিক্রেতাদের। গ্রিন ক্র্যাকার্স কী? জানেনই না বিক্রেতারা। কোটি কোটি টাকার মজুত করা বাজির কী হবে? বাজিবাজারে তালা পড়ায় হতাশ ক্রেতারাও।
রোশনাইয়ের উত্সব বলে কথা! ফি-বছর এই সময় দিল্লিজুড়ে থাকে আলোর মেলা। জোর তোড়জোড় শুরু হয় বাজি বাজারেও।কিন্তু, দূষণের রাজধানীতে এবছরও দীপাবলির মেজাজ ফিকে হয়ে গিয়েছে। কারণ, বাজিবাজারে তালা! সবমিলিয়ে উত্সবেও অন্ধকার কাটছে না দিল্লির।
জামা মসজিদ লাগোয়া দারিবা কালান। দিল্লির বৃহত্তম লাইসেন্সড বাজিবাজার। বছরের পর বছর এখানেই পসরা সাজান বাজি বিক্রেতারা। তবে এবছরও দীপাবলির আগে এই বাজিবাজারে শুধুই অন্ধকার। কেন?
দূষণে লাগাম টানতে দীপাবলিতে শুধু 'গ্রিন ক্র্যাকার্স' পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাত্ পরিবেশ বান্ধব বাজি, যাতে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক নেই। আর এই নির্দেশের জেরেই তুমুল অনিশ্চয়তা দিল্লি বাজিবাজারে। গ্রিন ক্র্যাকার্স কী, জানেনই না বেশিরভাগ বিক্রেতা। যার ফলে দীপাবলির আগে সারি সারি দোকানে তালা, বাজির খোঁজে হন্যে ক্রেতারা। এই অবশ্য প্রথম নয়। গত বছরও দীপাবলিতে কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিকে তৈরি বাজিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আদালত। তবে এবার সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে। ফলে, গ্রিন ক্র্যাকার্স মজুত করার কার্যত কোনও সময়ই পাননি তাঁরা। অগত্যা অন্ধকারেই দীপাবলি কাটবে বাজি বিক্রেতাদের।