নিরাপত্তার অভাবে দিল্লি ছেড়ে চাকরি নিয়ে অন্য শহরে চলে যেতে চান রাজধানীর অধিকাংশ কর্মরত মহিলা
রাজধানীর নিরাপত্তার নগ্ন চিত্রটা আরও একবার খুব স্পষ্ট ভাবে সামনে চলে এল। দিল্লিতে বসবাসকারী ৪৩% কর্মরত মহিলা এতটাই নিরাপত্তার অভাবে ভোগেন যে তাঁরা দিল্লি ছেড়ে অন্য শহরে চলে যেতে চান। এমনকি এই জন্য কম মাইনের চাকরির সঙ্গেও আপোষ করতে রাজি তাঁরা। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে লজ্জাজনক এই তথ্য।
রাজধানীর নিরাপত্তার নগ্ন চিত্রটা আরও একবার খুব স্পষ্ট ভাবে সামনে চলে এল। দিল্লিতে বসবাসকারী ৪৩% কর্মরত মহিলা এতটাই নিরাপত্তার অভাবে ভোগেন যে তাঁরা দিল্লি ছেড়ে অন্য শহরে চলে যেতে চান। এমনকি এই জন্য কম মাইনের চাকরির সঙ্গেও আপোষ করতে রাজি তাঁরা। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে লজ্জাজনক এই তথ্য।
PHD Chamber of Commerce and Industry দিল্লির কর্মরতা, ছাত্রী ও চাকরি অভিলাষী মহিলাদের উপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। এই সমীক্ষা অনুযায়ী অধিকাংশ মহিলা জানিয়েছেন দিল্লিতে প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তাহীন ভয়াবহ এক পরিবেশের মধ্যে দিয়ে তাঁদের দিন গুজরান করতে হয়। মোট ৩,৪০০ জন মহিলার উপর "Women Safety in Delhi: Issues and Challenges to Employment" নামের এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
এই সমীক্ষা অনুযায়ী ৪৩% কর্মরতা মহিলা দ্বিধাহীন ভাবে জানিয়েছেন দিল্লির নিরাপত্তা হীনতা তাঁদের এতটাই ভাবায় যে এমনকি কম মাইনের চাকরি নিয়ে দেশের অন্য যেকোনও শহরে চলে যেতে তাঁরা প্রস্তুত। নিরাপত্তার জন্য কম উপার্জনেও তাঁরা রাজি।
রাতের দিল্লির চেহারাটা আরও ভয়াবহ। ৮০% মহিলাই জানিয়েছেন তাঁরা দিনের শিফটে কাজ সেরে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি চলে আসতে চান। রাজধানীতে রাতের অন্ধকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে নিরাপত্তা।
৯% মহিলা জানিয়েছেন তাঁরা নমনীয় শিফটে কাজ করতে প্রস্তুত। ব্যক্তিগত ও পেশাদারী জীবনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ৭% মহিলা আবর্তনশীল শিফটে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
মাত্র ৪% মহিলা জানিয়েছেন তাঁরা রাতের শিফটে কাজ করতে অসুবিধা বোধ করেন না।
৬৪% মহিলা জানিয়েছেন মহিলাদের উপর অপরাধ দিল্লিতে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তাঁরা বহুক্ষণ ধরে বাইরে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে তাঁদের উৎপাদনশীলতা কমে যায়।