রাজধানীতে পর পর দুবার গুলি, নিহত ২
এক দিনের রাজধানীর বুকে পরপর দু'বার চলল গুলি। দক্ষিণ দিল্লিতে দুষ্কৃতির গুলিতে বিএসপি নেতা দীপক ভরদ্বাজের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব দিল্লির করকরডুমা মেট্রো স্টেশনে গুলিতে প্রাণ হারালেন আরেক তরুণী। গুলিবিদ্ধ হন নিহতের বাবাও। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এক দিনের রাজধানীর বুকে পরপর দু'বার চলল গুলি। দক্ষিণ দিল্লিতে দুষ্কৃতির গুলিতে বিএসপি নেতা দীপক ভরদ্বাজের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব দিল্লির করকরডুমা মেট্রো স্টেশনে গুলিতে প্রাণ হারালেন আরেক তরুণী। গুলিবিদ্ধ হন নিহতের বাবাও। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বেলা বারোটা নাগাদ নিহত দীপ্তি এবং তাঁর বাবা ভীষম, দুজনকেই পিছন থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি খালি কার্তুজ। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে স্টেশনের বাইরে থেকেই গুলি চালায় দুষ্কৃতি। মৃতের স্বামী পবন কুমারই গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
এই নিয়ে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দু'বার গুলি চলল দিল্লিতে। আজই দক্ষিণ দিল্লির একটি বর্ধিষ্ণু ফার্ম হাউসে আচমকা গুলি চলায় বিএসপি নেতা দীপক ভরদ্বাজ সহ দু`জনের মৃত্যু হয়। ৬২ বছরের নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এই নেতা ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি দেখিয়ে সব থেকে ধনী প্রার্থীদের শীর্ষে ছিলেন।
পুলিস জানিয়েছে মঙ্গলবার সকালে বসন্ত বিহারের কাছে তাঁর ফার্ম হাউসে কালো রঙের স্কোডা গাড়িতে দুই অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায়। দীপক ভরদ্বাজ সহ আরও দুই ব্যক্তির সঙ্গে বচসার পর আচমকা গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ ভরদ্বাজ ও তাঁর এক সঙ্গীকে আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই প্রাণ হারান তাঁরা। এইমসে তাঁদের দেহের ময়না তদন্ত করা হবে। এখনও পর্যন্ত খুনের কারণ জানা যায়নি। পুলিসের প্রাথমিক সন্দেহ আততায়ীরা মৃতের পরিচিত।
২০০৯-এ পশ্চিম দিল্লি থেকে বিএসপির প্রার্থী হয়েছিলেন দীপক ভরদ্বাজ। নির্মাণ ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত তিনি। তাঁর একাধিক স্কুলও আছে। রাজোকরি এলাকায় তাঁর নামে প্রচুর জমি রয়েছে।