দিল্লিতে ধৃত আইএস জঙ্গিকে টানা জেরা, উদ্ধার এক্সপ্লোসিভ বেল্ট-সহ প্রচুর বিস্ফোরক
গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে দিল্লির রিজ রোডে ধৌলা কুঁয়া ও করোল বাগের মধ্যের একটি জায়গা থেকে মুস্তাকিমকে গ্রেফতার করে পুলিস
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার রাতে ছোটখাটো গুলির লড়াইয়ের পর দিল্লিতে গ্রেফতার করা হয় আইএস জঙ্গি মহম্মদ মুস্তাকিম ওরফে আবু ইউসুফকে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি আইইডি উদ্ধার হয়। মুস্তাকিমকে জেরা করে রবিবার আরও বিস্ফোরক ও বিস্ফোরক বেল্ট উদ্ধার করল দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল।
আরও পড়ুন-প্রবল বৃষ্টি, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গুরুগ্রামের একটি উড়ালপুলের একাংশ, জখম ২
Balrampur: Incriminating materials recovered from the residence of ISIS operative Abu Yusuf who was arrested yesterday in Delhi. pic.twitter.com/GiKPsoM7Dg
— ANI UP (@ANINewsUP) August 23, 2020
He had stored gunpowder & other materials at home here. When I told him he should not do such things, he told me that I should not stop him. I wish he could be forgiven. I have four kids. Where will I go?: Wife of Abu Yusuf (ISIS operative arrested from Delhi y'day) in Balrampur pic.twitter.com/BKEmPHiO3I
— ANI UP (@ANINewsUP) August 23, 2020
পুলিস সূত্রে খবর, ওইসব বিস্ফোরক ও সুইসাইড বেল্ট জড়ো করা হয়েছিল দিল্লিতে ফিঁদাইন হামলার জন্য। মুস্তাকিমের কাছ থেকে পাওয়া আইইডি দুটি শনিবার নিষ্কৃয় করে এনএসজি কমান্ডোরা। দিল্লি পুলিসের একটি দল শনিবার মুস্তাকিমকে বলরামপুর নিয়ে যায়। সেখানেই উদ্ধার হয় ওই বিস্ফোরক ও বেল্ট।উল্লেখ্য, গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে দিল্লির রিজ রোডে ধৌলা কুঁয়া ও করোল বাগের মধ্যের একটি জায়গা থেকে মুস্তাকিমকে গ্রেফতার করে পুলিস। মুস্তাকিমের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে। দিল্লিতে একটি লোন উলফ হামলার ছক কষেছিল সে।
শনিবার সাংবাদিকদের দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলের কমিশনার প্রমোদ কুশওয়াহা বলেন, মুস্তাকিমের কাছে থেকে দুটি প্রেসার কুকার আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর বুকে সে জঙ্গি হামলার ছক কষেছিল। তার হামলার পরিকল্পনা ছিল ১৫ অগাস্ট। কিন্তু সেই হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের ‘মন কি বাত’ শোনা উচিত সরাকারের, NEET-JEE নিয়ে রাহুলের তোপ
দিল্লি পুলিসের দাবি, মহম্মদ মুস্তাকিম ওরফে আবু ইউসুফের সঙ্গে আইএস-এর যোগাযোগ ছিল। ওই হামলার পরিকল্পনার মাথা ছিল আইএস জঙ্গি ইউসুফ আলহিন্দি। সম্প্রতি সে সিরিয়ার মারা গিয়েছে। পরে মুস্তাকিমকে পরিচালনা করতে থাকে পাক নাগরিক আবু হুজাফা। হুজাফাও আফগানিস্তানে ড্রোন হামলায় মারা যায়। গত এক বছর ধরে মুস্তাকিমের ওপরে নজর রাখছিল পুলিস।