ফের শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া! ২২ টুকরো করা হল স্বামীর দেহ, তারপর রাতের অন্ধকারে...
Delhi Pandav Nagar: পাণ্ডবনগর থেকে পুলিস দেহের কয়েকটি টুকরো প্রথম উদ্ধার করে। কিন্তু টুকরোগুলি পচে-গলে যাওয়ায় চিহ্নিতকরণে সমস্যা হয়। ওদিকে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনা সামনে আসায় পুলিস অনুমান করে দেহের টুকরো শ্রদ্ধারই। পরে সেই ভুল ভাঙে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রথমে খুন পরে দেহ টুকরো করা-- ইদানীংকার ক্রাইমগুলিতে এই এক ঘটনা ঘটে চলেছে। এবার একই ঘটনা ফের দিল্লিতেই। দিল্লিরই শ্রদ্ধা কাণ্ডের স্মৃতি এখনও যায়নি অনেকের মন থেকে। লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে এসেছিল প্রেমিক আফতাব আমিন পুনেওয়ালা। আর এরই মধ্যে ফের শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া দিল্লির পাণ্ডব নগরে। সেখান থেকে খুনের অভিযোগে এক মহিলা ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মহিলা তার স্বামীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয়। এই কাজে তাকে সাহায্য করে তার ছেলে। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে এই খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আনা হয়। পুলিসসূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুনে দিল্লির পাণ্ডবনগর থেকে পুলিস দেহের কিছু টুকরো প্রথম উদ্ধার করে। কিন্তু দেহের টুকরোগুলি সম্পূর্ণ পচে-গলে যাওয়ায় তা চিহ্নিতকরণে সমস্যা হয়। শ্রদ্ধা-খুনের ঘটনা সামনে আসার পরই পুলিস অনুমান করে এই দেহের টুকরো হয়তো শ্রদ্ধার। কিন্তু পরে তদন্তে জানা যায়, দেহের টুকরো অঞ্জন দাস নামক এক ব্যক্তির। তিনি দিল্লির পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা ছিলেন। মৃতের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাবে 'না', যোগী রাজ্যে নাবালিকাকে টুকরো টুকরো করার হুমকি যুবকের!
পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পুনম ও তার ছেলে দীপক জুন মাসে অঞ্জন দাস নামক ওই ব্যক্তিকে খুন করে। তাদের সন্দেহ ছিল, ওই ব্যক্তির কোনও অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তারা প্রথমে স্লিপিং পিল খাইয়ে অঞ্জনকে অচেতন করে। এর পরে খুন করা হয়। দেহ লোপাট করতে টুকরো টুকরো করা হয় তা। অংশগুলি প্রথমে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে পাণ্ডবনগর ও তার আশেপাশের অঞ্চলে সেই টুকরোগুলি ফেলে আসে তারা।
ইতিমধ্যেই পুলিসের হাতে এ সংক্রান্ত কিছু সিসিটিভি ফুটেজও এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে গভীর রাতে হাতে প্যাকেট নিয়ে কোথাও হেঁটে যাচ্ছে দীপক। তার পিছনেই তার মা পুনম। পুলিসের অনুমান, রাতে দেহের টুকরোগুলি বিভিন্ন জায়গায় ফেলতে যেত মা-ছেলে।
কিন্তু কী ভাবে ঘটনাটা পুলিসের নজরে এল?
নজরে না বলে, নাকে বলাই হয়তো ভালো। পাণ্ডবনগরের কল্যাণপুরী এলাকার রামলীলা ময়দান সংলগ্ন একটি ঝোপ থেকে দুর্গন্ধ পান ওই অঞ্চলে কর্তব্যরত পুলিসকর্মী। তিনি সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিস স্টেশনে খবরটি দেন। খবরটি পেয়েই পুলিস পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। সেখানে ঝোপ থেকে তারা কতগুলি প্যাকেট পায়। সেই প্যাকেটে মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের টুকরো দেখে তারা। এর মাত্র ১ মাস আগে শ্রদ্ধা-কাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিস প্রাথমিক ভাবে এই টুকরোগুলি শ্রদ্ধা-কাণ্ডের সঙ্গেই জড়িত বলে মনে করে। কিন্তু পরে ভুল ভাঙে। এবং আলাদা করে তদন্ত শুরু হয়।