Tihar Jail: তিহার জেলের ডিজি বদল, নতুন দায়িত্বে সঞ্জয় বেনিওয়াল
জালিয়াতির অভিযোগে জেলে বন্দী সুকেশ চন্দ্রশেখর দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা সত্যেন্দ্র জৈন কারাগারে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে ১০ কোটি টাকা তোলাবাজি করেছিলেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রশেখরের চিঠি অফিস পেয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১৮ অক্টোবর দিল্লি সরকারের মুখ্য সচিবের কাছে তা পাঠানো হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লির এলজি ভি কে সাক্সেনা তিহার জেলের ডিজি সন্দীপ গোয়েলকে বদলি করেছেন। তাঁর জায়গায় সঞ্জয় বেনিওয়ালকে তিহার জেলের নতুন ডিজি করা হয়েছে। সন্দীপ গোয়েলকে পরবর্তী নির্দেশের জন্য পুলিসের সদর দফতরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। যদিও ডিজি সন্দীপ গোয়েলকে অপসারণের কোনও স্পষ্ট কারণ এখনও জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে সুকেশ চন্দ্রশেখরের চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এই বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি তিহারে আটক আপ নেতা এবং দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে জেলে ভিআইপি সুবিধা দেওয়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে।
জালিয়াতির অভিযোগে জেলে বন্দী সুকেশ চন্দ্রশেখর দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা সত্যেন্দ্র জৈন কারাগারে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে ১০ কোটি টাকা তোলাবাজি করেছিলেন। চন্দ্রশেখর ২০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় মান্ডোলি জেলে বন্দী এবং তার আইনজীবী অশোক কে সিংয়ের মাধ্যমে, আট অক্টোবর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনাকে চিঠি লিখে এই অভিযোগ করেছেন।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রশেখরের চিঠি অফিস পেয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১৮ অক্টোবর দিল্লি সরকারের মুখ্য সচিবের কাছে তা পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে চন্দ্রশেখরকে দক্ষিণ ভারতে দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে এবং রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আপকে ৫০ কোটি টাকারও বেশি দেওয়া হয়েছিল। চন্দ্রশেখর অভিযোগ করেছেন যে ২০১৭ সালে ‘দুই পাতার নির্বাচনী প্রতীক দুর্নীতি মামলায়’ গ্রেফতার হওয়ার পরে তাকে তিহার জেলে রাখা হয় এবং জৈন তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময় সত্যেন্দ্র কারাগার বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন। তিহার জেল দিল্লি সরকারের কারা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: ফের বিপাকে কেজরিওয়াল, শ্রমিকদের টাকা চুরির অভিযোগ বিজেপির
চন্দ্রশেখর আরও অভিযোগ করেছেন, 'এর পরে, ২০১৯ সালে সত্যেন্দ্র জৈন এবং তাঁর সচিব এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুশীল আবার জেলে আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, আমাকে কারাগারে সুরক্ষিত রাখতে এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রতি মাসে দুই কোটি টাকা দিতে বলেন’। আরও অভিযোগ, ‘এইভাবে সত্যেন্দ্র জৈনকে মোট দশ কোটি টাকা এবং কারা মহাপরিচালক সন্দীপ গোয়েলকে ১২.৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল’। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে চন্দ্রশেখর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) এই তথ্য দিয়েছেন।
সম্প্রতি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিল। যিনি তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন। অভিযোগে, ইডি বলেছিল যে সত্যেন্দ্র জৈনকে জেলে ভিআইপি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, সত্যেন্দ্র জৈনের স্ত্রী পুনম জৈনকে তাঁর সেলে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছিল। কখনও কখনও তিনি বৈঠকের জন্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় সেখানে থাকেন।
ইডির অভিযোগ, জেলে জৈনকে হেড ম্যাসাজ, ফুট ম্যাসাজ এবং ব্যাক ম্যাসাজের মতো সমস্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইডি-র এই অভিযোগের পরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তিহার জেলে সতেন্দ্র জৈনকে বিশেষ চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে দিল্লি সরকারের মুখ্য সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে।