Delhi High Court: বীর্য না মিললেও, পেনিট্রেশন মানেই ধর্ষণ : হাইকোর্ট
আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে, সিমেনের নমুনা পাওয়া যাক আর না যাক, তাতে অভিযোগকারিণীর ধর্ষিতা হওয়ার দাবি মিথ্যে হয়ে যায় না। একইসঙ্গে আদালত আরও বলে যে, পেনিট্রেশন-ই যথেষ্ট ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণ করার জন্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'সিমেনের উপস্থিতি না থাকলেও, পেনিট্রেশন হলেই ধর্ষণ।' রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এক বিদেশিনিকে ধর্ষণের অভিযোগে ২ অভিযুক্তকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। ২০১৪ সালে এক নাইজেরিয়ান মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
যদিও ডিএনএ পরীক্ষায় সিমেনের নমুনা মেলেনি, কিন্তু আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে, সিমেনের নমুনা পাওয়া যাক আর না যাক, তাতে অভিযোগকারিণীর ধর্ষিতা হওয়ার দাবি মিথ্যে হয়ে যায় না। একইসঙ্গে আদালত আরও বলে যে, পেনিট্রেশন-ই যথেষ্ট ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণ করার জন্য। আর সেই কারণেই অভিযুক্ত ২ জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ সালের ১৮-১৯ জুন। জনকপুরীর ডিস্ট্রিক্ট সেন্টারে এক বন্ধুর পার্টি থেকে ফিরছিলেন ওই নাইজেরিয়ান মহিলা। অটো ধরার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেইসময়ই তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় একটি গাড়ি। তাঁকে জোর করে ওই গাড়িতে তুলে নেয় ২ অভিযুক্ত। তারপর একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ২ অভিযুক্ত।
কুকর্মের পর ওই মহিলাকে ফের গাড়িতে করে এনে একটি মেট্রো পিলারের সামনে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এমনকি ওই নাইজেরিয়ার মহিলার সঙ্গে থাকা মূল্যবান সামগ্রীও লুঠ করে। এরপরই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
আরও পড়ুন, Hospital Licence Cancelled: জিভের বদলে অপারেশন শিশুর যৌনাঙ্গে, লাইসেন্স বাতিল এই হাসপাতালের