নিজে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েও বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিত্সা, কারণ বাতলালেন সত্যেন্দর
তিনি নিজে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অথচ তিনি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিত্সা করালেন কেন? এই নিয়েই প্রশ্ন তুলছিলেন সমালোচকরা। করোনাকে হারিয়ে প্রায় এক মাস পর কাজে ফিরেই তার জবাব দিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন।
নিজস্ব প্রতিবেদন :
তিনি নিজে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অথচ তিনি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিত্সা করালেন কেন? এই নিয়েই প্রশ্ন তুলছিলেন সমালোচকরা। করোনাকে হারিয়ে প্রায় এক মাস পর কাজে ফিরেই তার জবাব দিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন।
এ বিষয়ে এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আসলে আমি প্রথমে রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। পরে আমার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিত্সকরা প্লাজমা থেরাপির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেই হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছিল না।" তিনি আরও বলেন, "আমি অনুমোদন আসার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চিকিত্সক ও পরিজনরা তাতে আপত্তি জানান। আমার শ্বশুর তার আগের দিনই গত হন। তাই পরিবারের সদস্যরা আমায় নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি।"
এর পরেই তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে প্রথমে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। কিন্তু সেখানে প্লাজমা থেরাপির অনুমতি থাকায় তার প্রয়োগ করা হয়। এর পরেই ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়। থেরাপির দুই দিন পরেই তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি বাড়ি ফিরে যান।
"আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলি সব বিশ্বমানের," বলেন সত্যেন্দর। সঙ্গে এও বলেন যে তিনি কোভিড নেগেটিভ হওয়ার পরেও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বেশ কিছুদিন অক্সিজেন নিয়ে কাটাতে হয় তাঁকে। মাত্র দিন চারেক আগেই অক্সিজেন ব্যবহার করা বন্ধ করেছেন তিনি।
গত ১৭ জুন কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। এর আগের দিনই জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজীব গান্ধি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
আরও পড়ুন : ট্রেনের পর এবার রেল স্টেশনও! বেসরকারিকরণের পথে হাঁটার ইঙ্গিত রেলমন্ত্রীর