গত ছমাসে বহন করেছেন ২০০ মৃতদেহ, শেষপর্যন্ত করোনারই শিকার অ্যাম্বুল্যান্স চালক আরিফ
গত ৩ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়েন আরিফ। সঙ্গে সঙ্গেই তার কোভিড টেস্ট করা হয়। সেই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতালে ভর্তির কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ৬ মাস পার্কিং লটেই রাত কাটাতেন দিল্লির অ্যাম্বুল্যান্স চালক আরিফ খান। কখন ফোন আসে। বাসা উত্তর দিল্লির সিলমপুরে হলেও চার ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে ঘরে যেতে পারেননি সেই মার্চ থেকে। এই ছমাস করোনা রোগী থেকে শুরু করে করোনায় মৃত ২০০ মৃতদেহ তাঁর অ্য়াম্বুল্যান্সে বহন করেছেন আসিফ। সেই আরিফকে থামিয়ে দিল করোনাই। শনিবার দিল্লির হিন্দু রাও হাসপাতালে নিথর হয়ে গেল আরিফের দেহ। বাড়িভাড়া মাসে ৯ হাজার। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে হওয়ায় গোটা পরিবারটাই এখন অথৈ জলে।
আরও পড়ুন-ঝাঁ চকচকে স্পা সেন্টারের আড়ালে রমরমিয়ে মধুচক্র! 'সার্ভিস' নিতে গিয়ে ধৃত টলিউডের সিরিয়াল অভিনেতা
শহিদ ভগত সিং সেবাদল নামে একটি সংস্থার অ্যাম্বুল্যান্স চালাতেন আরিফ। চব্বিশ ঘণ্টার কাজ। ওই সংস্থা বিনামূল্যে অ্য়ম্বুল্যান্স পরিষেবা দেন রোগীদের। করোনার সময়েও সেটাই করছেন তারা। সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, করোনায় মৃত কোনও রোগীর মৃত্যু হলে তার শেষকৃত্য করতেও সাহায্য করতেন আরিফ।
Delhi: Arif Khan, ambulance driver with Shaheed Bhagat Singh Seva Dal, who ferried COVID19 patients & bodies for last rites, passed away due to #COVID19 yesterday.
“He worked 24 by 7 & was very hardworking. His death has broken morale of other drivers,”says founder of the group. pic.twitter.com/KJV7kMcYJk
— ANI (@ANI) October 11, 2020
সংস্থার কর্মী জিতেন্দ কুমার সংবাদমাদ্যমে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ২০০ করোনায় মৃত রোগীকে নিজের অ্যাম্বুল্য়ান্সে বহন করেছেন আরিফ। সবার শেষকৃত্য যাতে ভালোভাবে সম্পন্ন হয় তার খেয়াল রাখতেন আরিফ। কিন্তু নিজের পরিবারই তার শেষকৃত্য ভালোভাবে করতে পারল না। আরিফের মৃতদেহ দূর থেকে দেখেই বিদায় নিতে হল পরিবারের সদস্যদের।
আরও পড়ুন-'পাগড়ি খুলে শিখ সম্প্রদায়ের অপমান করেছে মমতা সরকারের পুলিস', রাজ্যপালের কাছে বিচারের আর্জি
গত ৩ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়েন আরিফ। সঙ্গে সঙ্গেই তার কোভিড টেস্ট করা হয়। সেই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতালে ভর্তির কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরিফের ছেলে আদিল জানিয়েছেন, 'গত ২১ মার্চ কিছুক্ষণের জন্য বাবাকে দেখেছিলাম। আমরা সবসময়েই ওকে নিয়ে চিন্তায় থাকতাম। কিন্তু বাবা করোনা নিয়ে কিছু ভাবনা করত না।'