এতদিনে পুলিসের জালে রাজধানীর কুখ্যাত মহিলা ডন ‘মাম্মি’

রাজধানীর ৫ কুখ্যাত মহিলা অপরাধীর তালিকায় ছিল তার নাম। এমন এক অপরাধী ‌যার নামে রয়েছে ১১৩ মামলা। সেই ‘মাম্মি’-কেই গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিস।

Updated By: Aug 19, 2018, 04:02 PM IST
এতদিনে পুলিসের জালে রাজধানীর কুখ্যাত মহিলা ডন ‘মাম্মি’

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজধানীর ৫ কুখ্যাত মহিলা অপরাধীর তালিকায় ছিল তার নাম। এমন এক অপরাধী ‌যার নামে রয়েছে ১১৩ মামলা। সেই ‘মাম্মি’-কেই গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিস।

শনিবার দিল্লির সঙ্গমবিহারে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল মাম্মি ওরফে বসিরান। পুলিসের কাছে আগে থেকেই ওই খবর ছিল। গোপন সূত্রে পাওয়া সেই খবরের ভিত্তিতেই ৬২ বছরের বসিরানকে গ্রেফতার করে পুলিস।

অপহরণ থেকে সুপরি নিয়ে খুন, তোলাবাজি থেকে ডাকাতি-কী নেই মাম্মির বিরুদ্ধে অভি‌যোগের তালিকায়। মাম্মির গ্যাংয়ে রয়েছে তার ৮ ছেলে ও অন্যান্য লোকজন। বহুদিন ধরেই মাম্মি ছিল দিল্লি পুলিসের ওয়ান্টেডের তালিকায়। এতদিনে জাল পড়ল এই মাহিলা ডন।

আরও পড়ুন-যাত্রীর পিঠের ব্যাগের চেন খুলতেই কপালে ঘাম এল রেলপুলিসের!

দিল্লির ডেপুটি কমিশনার রোমিল বানিয়া সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে দিল্লির  সঙ্গমবিহারের একটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বসিরানকে। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল সে। বেশ কিছুদিন সে পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।’

রাজস্থান থেকে এসে দিল্লিতে পসার জমায় বসিরান। তাও ৪৫ বছর আগে। ক্রমে নিজের গ্যাং গড়ে তোলে। দিল্লির বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তার জানাশোনা হয়। শহরের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় বেআইনি মদ বিক্রি দিয়ে তার ব্যবসা শুরু।

দিল্লির পুলিস কমিশনার আরও জানিয়েছেন, বসিরান পুলিসকে জানিয়েছে, ২০১৭ সালে সে সুপারি নিয়ে একটি খুন করে বসিরান। ওই কাজের জন্য সে নিয়োগ করে দলের দুই সদস্য আকাশ ও বিকাশকে। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মিরাজ নামে এক ব্যক্তিকে খুনের জন্য তার সৎ বোন মুন্নি বেগম বসিরানকে সুপারি দেয়। রফা হয় ৬০ হাজার টাকায়। সেই কথা মতো মিরাজকে দিল্লির সঙ্গমবিহারে আনে মুন্নি। আকাশ ও বিকাশ তাকে বেড়াতে নিয়ে ‌যাওয়ার নাম করে দিল্লির বাইরে নিয়ে গিয়ে খুন করে।

আরও পড়ুন-হরিদ্বারে গঙ্গায় ভাসানো হল অটল বিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম

গত জানুয়ারি মাসে বসিরান ও তার লোকজন দিল্লির এক ব্যক্তিকে খুনের পরিকল্পনা করে। রাজধানীর বাইরে একটি জঙ্গলঘেরা এলাকায় নিয়ে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে মেরে তার দেহ জ্বালিয়ে দেয়। এক সপ্তাহ পরে ঘটনাস্থলে ওকটি আধপোড়া মৃতদেহ দেখতে পান এক ব্যক্তি। তিনিই পুলিসকে খবর দেন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস এক কিশোরকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করেই গোটা ঘটনা বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই বসিরানকে খুঁজছিল পুলিস।

দিল্লির সঙ্গমবিহারের বেশ কয়েকটি নলকূপ কব্জা করে জল বিক্রিও করতো বসিরান। ওই কাজ দেখভাল করত বসিরানের ২ ছেলে।

.