বাংলা ছাড়া সব অবিজেপি শাসিত রাজ্যই উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ডাকা NPR বৈঠকে
কীভাবে জনসংখ্যা পঞ্জিকরণ করা হবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে জনসংখ্যা পঞ্জিকরণের প্রক্রিয়া-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির বৈঠক চলছে বিআর অম্বেদকর সেন্টারে। কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল-সহ সব রাজ্যই ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া। এমনটাই জানা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে। কেরল যখন সিএএ-এনপিআর নিয়ে বেশি সরব, ওই বৈঠকে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে সে রাজ্যের প্রতিনিধিদের। কেন্দ্রের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা।
কীভাবে জনসংখ্যা পঞ্জিকরণ করা হবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে জনসংখ্যা পঞ্জিকরণের প্রক্রিয়া-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এই এনপিআর হবে অ্যাপের মাধ্যমে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য কী কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা হবে। সূত্রে খবর, এনপিআর-এর প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য কোনও প্রমাণ পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক নয়।
আরও পড়ুন- প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার ছক বানচাল, পাকড়াও ৫ জইশ জঙ্গি
দুই দফায় জনসংখ্যা পঞ্জিকরণের কাজ চলবে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ি তালিকাভুক্ত ছাড়া অন্য়ান্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তবে, তার জন্য প্রমাণ পত্র দেখানোর প্রয়োজন নেই বলে জানা যাচ্ছে। এনপিআর এনআরসি-র প্রথম ধাপ। এমনই দাবি করে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি জানায়, তাদের রাজ্যে এনপিআর হতে দেবে না। কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছ। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সব রাজ্যের প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আমলার কথায়, জনসংখ্যা গণনা বিষয়টি পুরোপুরি প্রশাসনিক বিষয়। এখানে কোনও রাজ্য বাধা দিতে পারে না। যদি এমন পরিস্থিতি হয় আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানোর জায়গা রয়েছে সরকারের তরফে। প্রথম এনপিআর চালু হয় ২০১০ সালে। পরে পরিমার্জন হয়েছে ২০১৫ সালে।