দলে আসা দাগি নেতাদের টিকিট দেবেন না গডকড়ি
শেষ পর্যন্ত ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হলেন বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়ি। ঢাকঢোল পিটিয়ে দলে নেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মায়াবতী মন্ত্রিসভার বরখাস্ত সদস্য বাবু সিং কুশওয়াকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি হাইকম্যান্ড।
শেষ পর্যন্ত ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হলেন বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়ি। ঢাকঢোল পিটিয়ে দলে নেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মায়াবতী মন্ত্রিসভার বরখাস্ত সদস্য বাবু সিং কুশওয়াকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি হাইকম্যান্ড। যদিও রাজনৈতিক চাপানউতোর এড়াতে প্রকাশ্যে এ কথা ঘোষণা করা হয়নি ১১ নম্বর অশোক রোডের তরফে।
সাম্প্রতিক কালে দুর্নীতি এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন বিএসপি সুপ্রিমো। এঁদের মধ্যে দু`জন- অবধেশ বর্মা এবং দদন মিশ্রকে ইতিমধ্যেই টিকিট দিয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার লখনউতে সাংবাদিক বৈঠক করে আরও দুই `দাগি` প্রাক্তন মন্ত্রী বাবুসিং কুশওয়া এবং বাদশা সিংকে দলে নেওয়া হয়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সূর্য প্রতাপ শাহী এবং উত্তরপ্রদেশ বিজেপি`র অন্যতম শীর্ষনেতা বিনয় কাটিয়ার উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে বুধবার সকালে। জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন (এআরএইচএম) প্রকল্পে পাঠানো কেন্দ্রীয় অর্থে নিম্নমানের চিকিত্সা সরঞ্জাম কেনার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন পরিবার কল্যানমন্ত্রী বাবু সিং কুশওয়ার বেশ কয়েকটি ঠিকানায় হানা দেয় সিবিআই। স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক সিএমওএইচ হত্যাকাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে বাবু সিংয়ের।
ফলে পুরো ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে লালকৃষ্ণ আডবানি, সুষমা স্বরাজ-সহ দলের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্তরের নেতা উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের মুখে অন্য দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দলে নেওয়ায় তীব্র আপত্তি তোলেন।
শেষ পর্যন্ত গডকড়ির বাড়িতে দলে শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর বাবু সিং কুশওয়া-সহ সদ্য দলে আসা দাগি নেতাদের টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালেহর বিধানসভা ভোটের আগে একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নেতা ডি পি যাদবকে দলে নেওয়ার এক দিন পরই অটলবিহারী বাজপেয়ীর আপত্তিতে তাঁকে টিকিট না দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তত্কালীন বিজেপি সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এবার অন্তর্দলীয় বিতর্কের জেরে কার্যত সেই পথেই হাঁটতে বাধ্য হলেন নীতিন গডকড়ি।