'রাজনীতির কথা শুনেই মাথা নাড়াতেন প্রিয়'
দীর্ঘ নয় বছর রোগশয্যায় কাটিয়েছেন স্বামী। আর স্ত্রী বেঁচেছেন কেবল একটাই বিশ্বাস নিয়ে, "অলৌকিক কিছু ঘটতে পারে, আর তা যে কোনও সময় ঘটতে পারে"। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেসব কিছুই ঘটল না, চলে গেলেন প্রিয়রঞ্জন। অনেক কথাই আজ একটু একটু করে উঁকি দিচ্ছে তাঁর মনের মণিকোঠায়। তবে স্মৃতির মিছিলে যে কথাটা সব থেকে বেশি অবাক করে তা হল, রাজনীতির কথা শুনলেই অসুস্থ প্রিয়রঞ্জনের মাথা নাড়ার কথা!
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'প্রিয় দা' আর নেই। স্মৃতির মিছিলে ভারাক্রান্ত প্রিয় জায়া দীপা দাশমুন্সি। দীর্ঘ নয় বছর রোগশয্যায় কাটিয়েছেন স্বামী। আর স্ত্রী বেঁচেছেন কেবল একটাই বিশ্বাস নিয়ে, "অলৌকিক কিছু ঘটতে পারে, আর তা যে কোনও সময় ঘটতে পারে"। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেসব কিছুই ঘটল না, চলে গেলেন প্রিয়রঞ্জন। অনেক কথাই আজ একটু একটু করে উঁকি দিচ্ছে তাঁর মনের মণিকোঠায়। তবে স্মৃতির মিছিলে যে কথাটা সব থেকে বেশি অবাক করে তা হল, রাজনীতির কথা শুনলেই অসুস্থ প্রিয়রঞ্জনের মাথা নাড়ার কথা!
আরও পড়ুন- দ্বিতীয়বার পিতৃহারা হলাম : সুব্রত মুখোপাধ্যায়
২০০৮-এ হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিকে। দিন যত এগিয়েছে জীবনের লড়াইয়ে একটু একটু করে পিছিয়েছেন ফুটবল প্রেমী প্রিয়রঞ্জন। একটা সময় শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। ডাক্তাররা জানান, মন্ত্রীর মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটেছে। এরপর থেকেই কাউকে চিনতে পারতেন না তিনি। তবে হাল ছাড়েননি স্ত্রী দীপা দাশমুন্সি। নির্লিপ্ত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিকে সবসময়ই রাজনীতির কথা বলতেন দীপা। আর রাজনীতির কথা শুনলেইই না কি চোখের পলক পড়ত তাঁর, মাথা নাড়াতেন তিনি! গত অগস্টে একটি ইংরেজি দৈনিককে এমনটাই জানিয়েছিলেন প্রিয় ঘরণী। তবে দীপা দাশমুন্সির চোখে পড়া এইসব 'প্রতিক্রিয়া'কে কখনই মিরাক্যাল ঘটিয়ে ফিরে আসার চিহ্ন হিসাবে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি
দীর্ঘ অসুস্থতার সময় বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা উঠলেও পরিবার তাঁকে সবসময়ই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবার মধ্যেই রাখতে চেয়েছে, সেভাবে বাড়ি ফেরা হয়নি। তাই দীর্ঘ ৯ বছর এবার তিনি বাড়ি ফিরবেন। তবে হেঁটে চলে নয়, শবশকটে চোখ বন্ধ করে বাড়ি ফিরবেন রায়গঞ্জের ছেলে।