পবন-অশ্বিনীর প্রদত্যাগের প্রশ্নই নেই, জানিয়ে দিল কংগ্রেস

বিরোধীরা যতই রেলমন্ত্রী পবন বলশন ও আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারের পদত্যাগের দাবি তুলুক, কংগ্রেস যে দুই বিশ্বাসভাজনকে এখনই কোনও কড়া দাওয়াই দিতে রাজি নয়,  তা স্পষ্ট করে দিল দশ জনপথ। কংগ্রেসের তরফে সাফাই, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দু'জনের বিরুদ্ধে।

Updated By: May 5, 2013, 10:25 AM IST

বিরোধীরা যতই রেলমন্ত্রী পবন বলশন ও আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারের পদত্যাগের দাবি তুলুক, কংগ্রেস যে দুই বিশ্বাসভাজনকে এখনই কোনও কড়া দাওয়াই দিতে রাজি নয়,  তা স্পষ্ট করে দিল দশ জনপথ। কংগ্রেসের তরফে সাফাই, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দু'জনের বিরুদ্ধে।
এ দিন কংগ্রেস কোর কমিটির বৈঠক শেষে কান্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মনীশ তিওয়ারি জানিয়ে দেন, "তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।" তবে দুর্নীতিতে সরকারের অবস্থান ঠিক কী? সেবিষয়ে মনীশের বক্তব্য, "বিষয়টি বিচারাধীন।" ফলত সরকার আদালতেই মুখ খুলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে দখলদারি করার অভিযোগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, "ইউপিএ সরকার কোনও তদন্তে বাধা দেয়নি।" রবিবার সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রীর ৭ রেস কোর্স রোডের বাড়িতে বসে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেখানেই রেলমন্ত্রী পবন বনশল ও আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারের ভাগ্য নিয়ে আলোচনা হয়। এ দিনের বৈঠকে মনমোহন সিং সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে এন্টনি ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কমল নাথ।
 
শুক্রবার রাতে চন্ডীগড়ে নিজের বাড়িতে ঘুষ নেওয়ার সময় পবন কুমার বনশলের ভাগ্নে বিজয় কুমার সিংলাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ঘুষের ৯০ লক্ষ টাকাও। অভিযোগ, রেলওয়ে বোর্ড মেম্বার মহেশ কুমারকে পছন্দ মত পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করে দিতে তাঁর কাছ থেকে এই টাকা ঘুষ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় মঞ্জুনাথ নামে এক ব্যক্তিকেও। অভিযোগ, মঞ্জুনাথের মাধ্যমেই সিংলাকে টাকা পাঠিয়েছিলেন মহেশ কুমার। মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহেশ কুমারকেও। এ ছাড়াও সিংলা এবং মহেশ কুমারের আর্থিক লেনদেনে মধ্যস্থতা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বিনয় গোয়েল নামে আরও এক ব্যক্তি। ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতদমন আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রজু করেছে সিবিআই।
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী ডেকে পাঠান পবন বনশলকে। দীর্ঘক্ষন আলোচনা হয়ে দু'জনের। ভাগ্নে বিজয় সিংয়ের সঙ্গে তাঁর পরিবারের যে কোনও ব্যবসা সংক্রান্ত সম্পর্ক নেই বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী।

.