পুলওয়ামায় ফের সিআরপিএফ-কে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা
ওই বাঙ্কারকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা হয়। সেই হামলায় একজন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আবারও জঙ্গি হামলার খবর মিলল দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে। এবার হামলার লক্ষ্য ছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার স্থানীয় শাখা। ওই শাখার নিরাপত্তার জন্য সেখানেই রয়েছে সিআরপিএফের বাঙ্কার। ওই বাঙ্কার লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়।
ওই বাঙ্কারকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা হয়। সেই হামলায় একজন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হয়েছেন। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয় বলেই জানা গিয়েছে। তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির হয় সেনা ও পুলিস। দ্রুত স্থানীয় মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শুরু হয়েছে তদন্ত।
Jammu & Kashmir: Terrorists lobbed grenade near SBI branch in Pulwama, today. No casualties/injuries reported. pic.twitter.com/IsUSy1Lemt
— ANI (@ANI) March 30, 2019
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়। আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা হয় সিআরপিএফ কনভয়ে। সেই হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন।
তার পর ফের পুলওয়ামা জঙ্গিদের নিশানায়। ফলে ওই এলাকার নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে সেনা কনভয়ের কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ
এদিকে শনিবার সকালেই বানিহালে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বানিহালের বিস্ফোরণের বিষয়টি সামনে আসে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের জওহর টানেলের কাছে জাতীয় সড়কের উপর একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার সময় সেখান থেকে কিছুটা দূরেই ছিল সিআরপিএফের কনভয়।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক তত্পরতা দেখেই পাঞ্জাব-রাজস্থান সীমান্তে সেনা-ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে ভারত
কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে, ততই সামনে আসতে শুরু করেছে নতুন তথ্য। সেনার একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যে গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়, তার পাশ দিয়েই বেরিয়েছে সিআরপিএফ কনভয়। কনভয়ের একটি গাড়িতে ওই গাড়িটি ধাক্কাও মারে।
তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় ওই গাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিআরপিএফের গাড়িটিও। তবে জওয়ানরা সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
এদিকে বিস্ফোরণে গাড়িটি ভস্মীভূত হলেও চালকের খোঁজ নেই। ফলে চালক সেখান থেকে কীভাবে পালিয়ে গেল, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই চালক পালিয়েছে, এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে চালকের সন্ধান শুরু হয়েছে।