Cow Sumggling: দল সম্পর্কে ইডিকে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে দিলেন অনুব্রত, ঘুরতে পারে তদন্তের মোড়!
Cow Sumggling: অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এর পেছনে বড় কারণ হল অনুব্রতর মেয়ের বয়ান। নিজের বিপুল সম্পত্তির কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, টাকাপয়সার খবর বাবা ও মণীশবাবু জানেন
জ্যোতির্ময় কর্মকার ও প্রসেনজিত্ মালাকার: গোরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতারই শুধু নয় তাকে দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে ইডি। সেখানেই রয়েছে তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন ও তাঁর সিএ মণীশ কোঠারি। এরকম এক অবস্থায় আইনি লড়াই ছাড়া আর কিছুই করার নেই দলের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়া পর তাঁকে বহিষ্কার করেছে দল। কিন্তু অনুব্রতর ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। এরকম এক পরিস্থিতিতে দলের প্রতি আস্থার কথা শোনা গেল অনুব্রতর মুখে।
আরও পড়ুন-মাথায় বাড়ছিল ফ্লুইড, হাঁটতে সমস্যা মুকুলের! অস্ত্রোপচারে স্থিতিশীল নেতা
ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত জানিয়েছেন দল তাঁর পেছনে রয়েছে, দলের প্রতি ভরসা রাখছি। তবে গোরু পাচারকাণ্ডে দলের কোনও ভূমিকা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি অনুব্রত মণ্ডলের হেফাজত শেষ হচ্ছে। ফলে তার উপরে চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। কারণ গোরু পাচাকরাণ্ডে বিপুল টাকা লেনদেনের বিষয়টি অনুব্রতর মুখ দিয়েই এখন স্বীকার করাতে চাইছে ইডি। তার মধ্যেই ওি কথ াবলেছেন অনুব্রত।
অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এর পেছনে বড় কারণ হল অনুব্রতর মেয়ের বয়ান। নিজের বিপুল সম্পত্তির কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, টাকাপয়সার খবর বাবা ও মণীশবাবু জানেন। এদিকে, গ্রেফতারের পর মণীশ কোঠারিকে কিছু ভেঙে পড়তে দেখা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন মণীশ। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আইনজীবী সূত্রে মণীশ জানতে পারেন, অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল তার উপরে বহুকিছু চাপিয়ে দিয়েছেন। সেই কথা জানার পরই তিনিও অনুব্রতর টাকাপয়সা সম্পর্কে বহুকিছু বলতে শুরু করেছেন বলে খবর।
এদিকে, অনুব্রতর ওই বক্তব্যের পরই ইডি বোঝার চেষ্টা করছে দল বলতে অনুব্রত কী বোঝাতে চাইছেন। পার্টি নাকি অন্যকিছু। ফলে তদন্তের গতি প্রকৃতি কিছুটা অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারেও বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক বিজয় রজকের অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল টাকা লেনদেনের হদিস পেল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সূত্রের খবর, বিজয় রজকের অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ৬০ লাখ টাকা জমা পড়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থায় মনে করছে ওই টাকার লেনদেন হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে। কার ওই টাকা লেনদেন করেছিল তা এবার খোঁজ নিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।