সামনে লম্বা লড়াই; বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ, সর্বদলীয় বৈঠকে ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
আগেই বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন।এবার সর্বদলীয় বৈঠকে ফের একই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগেই বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন।এবার সর্বদলীয় বৈঠকে ফের একই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এরকম এক অবস্থায় ভিডিয়ো কন্ফারেন্সে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যর মূল বিষয় হল করোনা সম্পর্কে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ১৪ এপ্রিল লকডাউন তুলে নেওয়া প্রায় অসম্ভব। এনিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদর সঙ্গে কথা বলা হবে। তবে মনে হয় না লকডাউন খুব তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে। করোনার আগে ও পরে জীবনযাত্রা অনেকটাই বদলে যাবে। মানুষের সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বদল আসবে। আমাদের সামনে লম্বা লড়াই।
Situation in country is akin to a ‘social emergency’; it has necessitated tough decisions and we must continue to remain vigilant. States, District administrations and Experts have suggested extension of Lockdown to contain spread of the virus: PM during interaction with MPs https://t.co/UcFwyPlgQA
— ANI (@ANI) April 8, 2020
আরও পড়ুনLive: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৬৯, মৃত ৫ | দেশে আক্রান্ত ৪৩১২, মৃত ১২৪
উল্লেখ্য, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১৯৪। ফলে চিন্তা ক্রমশই বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ ওই বৈঠকে ছিলেন গুলাম নবি আজাদ ও শরদ পাওয়ার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেশের করোনা পরিস্থিতি তাঁদের অবহিত করেন। সূত্রের খবর, লকডাউন নিয়ে বিরোধীদের তাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন মোদী। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া আগে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও তিনি জানান।এনিয়ে বৈঠক হবে ১১ এপ্রিল।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বৈঠকে বলেন, করোনার আক্রমণে দেশে এক সামাজিক জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর ওপরে কড়া নজর রাখতে হবে সবাইকে। বিভিন্ন রাজ্য, জেলা প্রশাসন লকডাউন বাড়ানোর পক্ষেই মত দিয়েছে।
আরও পড়ুন-হনুমান জি-র মতো সঞ্জীবনী পৌঁছলেন মোদী, নমো-স্তুতি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের
দেশব্যাপী লকডাউন না বাড়ালেও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার পরামর্শ বারবারই দিয়ে চলেছেন একাধিক রাজ্যের মন্ত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য বেশিরভাগ স্কুল এবং কলেজেই আর কিছু দিন বাদে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ার কথা। তাই লকডাউনের শেষে ওই ছুটি শুরু করে কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া উচিত স্কুল ও কলেজে পঠনপাঠনের কাজ। পরিবর্তে অনলাইনেই চলুক পড়াশোনা।
মন্ত্রীরা আরও পরামর্শ দিয়েছেন, ধর্মীয় কেন্দ্রগুলি যেখানে সাধারণত বিপুল জনসাধারণের সমাগমের প্রবণতা রয়েছে, সেই জায়গাগুলিকে চরম নজরদারির মধ্যে রাখা উচিত। প্রয়োজনে ড্রোন উড়িয়েও বিশেষ তদারকির মাধ্যমে জনসমাগম রোখার আর্জি জানিয়েছেন এই মন্ত্রীরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ওই বৈঠকে ধর্মীয় স্থল, স্কুল কলেজ ও শপিং মল আরও ৪ সপ্তাহ বন্ধ রাখার কথা আলোচনা করা হয় বলে সূত্রের খবর। লকডাউনের সম্প্রসারণে মত দিয়েছে তেলেঙ্গানাও। বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ জুনের মধ্যেই সবথেকে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তেলেঙ্গানা ৩ জুন পর্যন্ত লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে।