''ঘোর কলিযুগ'', করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির
দফায় দফায় বিমান পাঠিয়ে বিদেশ থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করে দেশে ফেরান হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘোর কলিযুগে ভাইরাসের সঙ্গে আমরা লড়াই করতে পারি না। প্রতিব ১০০ বছর অন্তর মহামারী আসছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের।
করোনাভাইরাসের জেরে শুধুমাত্র গুরুত্ব মামলা শোনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এনিয়ে আইনজীবীদের প্রশ্নে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বলেন,''একশো বছর অন্তর আসে এই ধরনের মহামারী। ঘোর কলিযুগে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারি না। মানুষ কতটা দুর্বল দেখুন। আপনি সব কিছু করতে পারেন। নানা ধরনের হাতিয়ার তৈরি করতে পারেন। কিন্তু ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারেন না। নিজেদের মতো করে লড়াই করতে হবে আমাদের।''
করোনাভাইরাস যাতে না ছড়ায় সে কারণে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। করোনা প্রতিরোধ জমায়েত এড়াতে এই সিদ্ধান্ত। কলকাতা হাইকোর্টও একই পথে হেঁটেছে।
দফায় দফায় বিমান পাঠিয়ে বিদেশ থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করে দেশে ফেরান হয়েছে। তবুও করোনার কোপ থেকে সবাইকে রক্ষা করা গেল না। গতমাস থেকেই ইরানের নানা হোটেলে আটকে রয়েছেন প্রায় আটশো ভারতীয়। সোমবারই ইরান থেকে এমন ৫৩ জনকে ফেরানো হয়। এখনও পর্যন্ত করোনা প্রভাবিত সব দেশ মিলিয়ে প্রায় ৩৯০ জনকে উদ্ধার করে দেশে আনা হয়েছে। তবে, এদিন লোকসভায় সরকারই দিয়েছে উদ্বেগজনক খবর। জানানো হয়েছে, বিদেশে কমপক্ষে ২৭৬ জন ভারতীয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে শুধুমাত্র ইরানে অসুস্থ ২৫৫ জন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আক্রান্ত ভারতীয় ১২। ইতালিতে পাঁচ এবং হংকং, শ্রীলঙ্কা, কুয়েত ও রোয়ান্ডায় এক জন করে ভারতীয়র শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। এদিন সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ বলেন,''বিদেশে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়া ভারতীয়রা যাতে সঠিক চিকিত্সা পান, সেজন্য ওইসব দেশের ভারতীয় দূতাবাস স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।''
আরও পড়ুন- করোনা প্রতিরোধে কড়া দাওয়াই? বৃহস্পতিতে রাত ৮টায় জাতিকে সম্বোধন মোদীর