জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েতে হার বিজেপির! সচিনের হাত ধরে রাজস্থানে বড় জয় কংগ্রেসের

"আঞ্চলিক ক্ষেত্রে ভোটের ফলাফলই বলে দিচ্ছে, রাজস্থানে বিজেপির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিগত বছরগুলিতে কংগ্রেস মানুষের মনের কথাই তুলে ধরেছে। ভোটেও সেই প্রভাব পড়েছে।" সচিন পাইলট আশাবাদী, আগামী দিনে রাজস্থানের দুই লোকসভা আসনের উপনির্বাচনেও আশানুরূপ ফল করবে কংগ্রেস।

Updated By: Dec 19, 2017, 11:07 PM IST
জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েতে হার বিজেপির! সচিনের হাত ধরে রাজস্থানে বড় জয় কংগ্রেসের

নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাট এবং হিমাচলপ্রদেশ, দুই রাজ্যে জয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজস্থানে বড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। বসুন্ধরা রাজের রাজস্থানে কংগ্রেসের কাছে ৪ জেলা পরিষদ খোয়াল ভারতীয় জনতা পার্টি। ২৭টি পঞ্চায়েত সিমিতির মধ্যে কেবল ১০টি'র দখলই রাখতে পারল শাসক দল। অন্যদিকে কংগ্রেস জিতেছে ১৬টি পঞ্চায়েত সমিতি। একটি পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় নির্দল। এছাড়াও ১৪টি পুরসভার ওয়ার্ডে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করেছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। ৭টি করে আসনে জয় পেয়েছে পদ্ম এবং 'হাত শিবির'। রাজস্থানের ২৬টি ভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত এই ভোটে কংগ্রেসের বিপুল জয়ের কাণ্ডারি দলের রাজ্য সভাপতি সচিন পাইলট টুইটে জানান, "গ্রামাঞ্চল এবং শহর, দুই ক্ষেত্রেই মানুষের বিপুল সমর্থন পেয়েছে কংগ্রেস।"

রাজস্থানে জয়ের পর জি নিউজকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা 'রাহুল ঘনিষ্ঠ' নেতা সচিন পাইলট বলেন, "আঞ্চলিক ক্ষেত্রে ভোটের ফলাফলই বলে দিচ্ছে, রাজস্থানে বিজেপির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিগত বছরগুলিতে কংগ্রেস মানুষের মনের কথাই তুলে ধরেছে। ভোটেও সেই প্রভাব পড়েছে।" সচিন পাইলট আশাবাদী, আগামী দিনে রাজস্থানের দুই লোকসভা আসনের উপনির্বাচনেও আশানুরূপ ফল করবে কংগ্রেস।

আরও পড়ুন- টার্গেট ফেল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের!

আলওয়ার এবং আজমের, দুই লোকসভা আসন এখনও পর্যন্ত নিজেদের দখলে রেখেছে বসুন্ধরা ব্রিগেড। এছাড়াও মন্দলগড় বিধানসভা কেন্দ্র, যেখানে উপনির্বাচন হবে সেখানেও জয়ী প্রতিনিধি ছিলেন বিজেপির-ই। এই তিন আসনে জনপ্রতিনিধিদের আকস্মিক মৃত্যুর কারণেই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

আরও পড়ুন- ১৯ রাজ্যে 'রং দে তু মোহে গেরুয়া'

যদিও রাজস্থানে বিজেপির এই হারকে বর করে দেখতে নারাজ বিজেপি। বরং, জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনের এই ফলকে ইতিবাচকই মনে করছে গেরুয়া শিবির। বসুন্ধরা রাজের পুত্র সাংসদ দুশান্ত সিংয়ের ডেরা হিসেবে পরিচিত বরণ জেলায় হারের পরও বিজেপি মুখপাত্র আনন্দ শর্মার মত, "নির্বাচনের ফল ভাল হয়েছে, কংগ্রেসের থেকে অনেক আসন ছিনিয়ে নিয়েছি আমরা।" 

আরও পড়ুন-  হিমাচলের থিয়োগে কংগ্রেস-বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী সিপিএম

.