কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতাই সমকামি, বললেন রামদেব

সুপ্রিম কোর্ট যে দিন ৩৭৭ ধারা নিয়ে বিতর্কিত রায় দিয়েছিল, সেদিন বাবা রামদেব বলে ছিলেন, সমকামিতা এক নষ্ট নেশা। আর এবার যোগগুরু তাঁর চিরশত্রু কংগ্রেসকে নিয়ে জড়ালেন সমকামিতা প্রসঙ্গকে। রামদেব বললেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার প্রশ্নে কংগ্রেস নেতারা নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন কারণ তাদের দলে অনেক নেতাই সমকামী।

Updated By: Dec 17, 2013, 06:34 PM IST

সুপ্রিম কোর্ট যে দিন ৩৭৭ ধারা নিয়ে বিতর্কিত রায় দিয়েছিল, সেদিন বাবা রামদেব বলে ছিলেন, সমকামিতা এক নষ্ট নেশা। আর এবার যোগগুরু তাঁর চিরশত্রু কংগ্রেসকে নিয়ে জড়ালেন সমকামিতা প্রসঙ্গকে। রামদেব বললেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার প্রশ্নে কংগ্রেস নেতারা নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন কারণ তাদের দলে অনেক নেতাই সমকামী।

রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী সহ কংগ্রেস নেতারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হতাশা প্রকাশ করে সমকামিতা বৈধ ঘোষণা করার দাবি জানান। বিজেপি অবশ্য রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, সমকামিতা অস্বাভাবিক এবং ভারতীয় ঐতিহ্যের পরিপন্থী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার দরকার আছে। এরপরই রামদেব কংগ্রেসকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন।

অরবিন্দ কেরজিরওয়ালের আম আদমি পার্টিকেও কটাক্ষ করেন যোগগুরু। আপ-এর নির্বাচনী প্রতীক ঝাঁড়ুর কথা মাথায় রেখে রামদেব বলেন, সংসদেও দু-তিনজন ঝাড়ুদার প্রয়োজন!

এর আগে সমকামিতা নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ছিলেন বাবা রামদেব। তাঁর কাছে সমকামিতা এক খারাপ নেশা। তবে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় তিনি বাতলে দিতে পারেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বাবা। এ দিন নিজের আশ্রমে গে কমিউনিটির মানুষদের ডেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে রামদেব বলেন, "আমি আশ্বাস দিচ্ছি। আমার কাছে এলে সমকামিতার নেশা কাটিয়ে দেব। এটা বংশগত রোগ নয়। যদি আমাদের অভিভাবকরা সমকামী হতেন, তাহলে আমাদের জন্ম হত না। তাই এটা অস্বাভাবিক। এটা শুধু একটা খারাপ নেশা।"

বিজ্ঞান, অর্থনীতির মতো ক্ষেত্রে সমকামী মানুষদের অবদান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রামদেব। এমনকী, সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরাও কেউ যাতে সমকামী না হব তার জন্যও প্রার্থনা করেছেন তিনি। তবে রামদেব স্বাগত জানালেও শীর্ষ আদালতের রায়ের সমালোচনা করেছেন বৃন্দা কারাত। সমকামীদের পাশে দাঁড়িয়েছে কলকাতার বুদ্ধিজীবী মহল, গোটা বলিউড।

বুধবারই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

.