তেলেঙ্গানার দাবিতে সংসদে সরব ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করল কংগ্রেস
তেলঙ্গানা ইস্যুতে শেষপর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নিল কংগ্রেস। সংসদের ভিতর পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হওয়া দলের আট সাংসদকে ৪ দিনের জন্য সাসপেন্ড করল কংগ্রেস হাইকমান্ড। ওই আট সাংসদের হৈ-হট্টগোলের জেরে মঙ্গলবার দিনভরের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন।
তেলঙ্গানা ইস্যুতে শেষপর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নিল কংগ্রেস। সংসদের ভিতর পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হওয়া দলের আট সাংসদকে ৪ দিনের জন্য সাসপেন্ড করল কংগ্রেস হাইকমান্ড। ওই আট সাংসদের হৈ-হট্টগোলের জেরে মঙ্গলবার দিনভরের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে তেলঙ্গানার দাবিতে সংসদে তুমুল হই-হট্টগোল শুরু করে দিলেন তাদের দলেরই আট সাসংদ। তাদের হট্টগোলের জেরে দুবার মুলতুবি করে দিতে হয় অধিবেশন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পি কে বনসল একাধিকবার ওই আট সাংসদকে নিজেদের আসনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু, সেই অনুরোধে সাড়া না-দিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে ওয়েলে নেমে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই আট কংগ্রেস সাংসদ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেস সভানেত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসে হাইকমান্ড। তারপরই পুনম প্রভাকর, মধু ইয়াশখি গৌড়, এম জগন্নাথ, কে আর জি রেড্ডি, জি বিবেকানন্দ, বলরাম নায়েক, সুকেন্দ্র রেড্ডি গুঠা এবং এস রাজাইয়াকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পি কে বনসল।
আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তেলঙ্গানা নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি এবং বামেরা। সংসদে এই প্রথম শাসকদলের প্রতিনিধিদের সাসপেন্ড করার ঘটনা ঘটল। এর আগে ১৯৮০ সালে বোফর্স কাণ্ডে ৩০ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।