কয়লার ব্লক-বন্টন ইস্যু: মানহানির মামলায় হার জিন্দালের

আদালতে ধাক্কা খেল কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দালের সংস্থা জেএসপিএল। খারিজ হয়ে গেল দ্য সানডে ইন্ডিয়ান ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলার আবেদন। কয়লার ব্লক-বন্টন ইস্যুতে গত বছর দুটি লেখা বেরোয় ওই ম্যাগাজিনে। এরপরই তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে জিন্দালের সংস্থা।   

Updated By: Oct 5, 2013, 11:09 AM IST

আদালতে ধাক্কা খেল কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দালের সংস্থা জেএসপিএল। খারিজ হয়ে গেল দ্য সানডে ইন্ডিয়ান ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলার আবেদন। কয়লার ব্লক-বন্টন ইস্যুতে গত বছর দুটি লেখা বেরোয় ওই ম্যাগাজিনে। এরপরই তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে জিন্দালের সংস্থা।   
দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে মেট্রোপলিট্যান ম্যাজিস্ট্রেট গোমতী মনোচা খারিজ করে দিলেন জেএসপিএল-এর দায়ের করা মামলা। দ্য সানডে ইন্ডিয়ান ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে মানহানির ফৌজদারি মামলা চালানোর আর্জি জানিয়ে ওই মামলা হয়। আদালত জানিয়েছে, মামলাকারী সংস্থা জেএসপিএল নিজেরাই যে সিএজি রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে, তাতে স্পষ্ট কয়লা ব্লক বন্টনে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া সংস্থাগুলির একটি জেএসপিএল। কয়লা ব্লকের ওই নিলাম নিয়ম মেনে হয়নি। ব্লক-বন্টনে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক নিরপেক্ষতা বজায় রাখেনি। যার ফলে কয়েকজন বাড়তি সুবিধা পেয়ে গেছে।
সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের মন্তব্য, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্‍ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আইন এবং গণতন্ত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। সাধারণ মানুষের সব জানার অধিকার আছে। কয়লার ব্লক-বন্টন সম্পর্কে তথ্য জানাও তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। আদালতকে সংবাদমাধ্যমের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ নৈতিক, আইনি ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করে তারা।
এদিকে নজর না দেওয়াও ভুল যে সংবাদমাধ্যমে এখন দুর্নীতির বহু খবর আসছে। সেই সমস্ত ব্যক্তি যাদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত চলছে এবং তাঁদের সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে খবর হচ্ছে, তাঁরা ওই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার রাখেন। কিন্তু যদি এটাই চলতে থাকে তাহলে সব সংবাদপত্রই কালো পৃষ্ঠায় ছাপতে হবে এবং টিভি চ্যানেলগুলি ঠিকমতো রিপোর্টিং করতে পারবে না। আমরা এটা ভুলতে পারি না যে ভারত সেই পথে এগোচ্ছে যেখানে রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট এখন আইন। তথ্য জানার অধিকার আছে মানুষের। এই অবস্থায় সংবাদমাধ্যমকে প্রভাবিত করার কোনওরকম চেষ্টা দেশকে পিছনে ঠেলে দেবে। আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, এই মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে ভিত্তি নেই। এই জন্য একে খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।   

.