বিশ্ব পরিবেশ দিবসে স্বচ্ছতোয়া গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করার আহ্বান
এদেশের জীবনরেখা গঙ্গা। এই নদীকে ঘিরে প্রাণ পেয়েছে ভারতের নগর সভ্যতা। গঙ্গার দুপারে গড়ে উঠেছে একের পর এক শহর, কলকারখানা। এই সব শহরের বিপুল পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন মিশছে গঙ্গার জলে। দূষণে আজ বিপন্ন গঙ্গা। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তাই আমাদের সঙ্কল্প গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করা। গঙ্গা শুধু একটি নদী নয়। গঙ্গা ভারতের বহমান সময়ের প্রতীক।
এদেশের জীবনরেখা গঙ্গা। এই নদীকে ঘিরে প্রাণ পেয়েছে ভারতের নগর সভ্যতা। গঙ্গার দুপারে গড়ে উঠেছে একের পর এক শহর, কলকারখানা। এই সব শহরের বিপুল পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন মিশছে গঙ্গার জলে। দূষণে আজ বিপন্ন গঙ্গা। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তাই আমাদের সঙ্কল্প গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করা। গঙ্গা শুধু একটি নদী নয়। গঙ্গা ভারতের বহমান সময়ের প্রতীক।
গঙ্গোত্রী থেকে গঙ্গাসাগর, এই নদীর দুপারে গড়ে উঠেছে অগণিত শহর। তিনশরও বেশি বাঁধ দেওয়া হয়েছে এই নদীতে। তৈরি হয়েছে একাধিক বিদ্যুত্ প্রকল্প। নদীর দুপারে হয়ত আলো জ্বলেছে কিন্তু দূষণের আঁধারে একটু একটু করে তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গা। এই নদীর পারেই রয়েছে কানপুর, এলাহাবাদ, বরানসী, পাটনা, কলকাতা সহ ২৯টি বড় শহর। রয়েছে বহু ছোট শহর, গঞ্জ। গঙ্গার দুপারে বাস করেন প্রায় পঞ্চাশ কোটির বেশি মানুষ। প্রতিদিন এই শহর গুলি থেকে বর্জ্য মিশছে গঙ্গায়। নদীর দুপাশে গড়ে উঠেছে অগণিত ট্যানারি, রাসায়ণিক কারখানা, কাপড় কল , অন্যান্য কারখানা। শুধুমাত্র কানপুরেই রয়েছে চারশরও বেশি ট্যানারি। প্রতিদিন এই কারখানার দুষিত বর্জ্য মিশছে গঙ্গায়। গঙ্গা দূষণের জন্য প্রধাণত দায়ী নদীর দুপারে গড়েওঠা শহর গুলির এই বর্জ্য। ব্যতিক্রম নয় কলকাতাও। তবে এই বিপুল দুষণ রোধে পুরসভার উদ্যোগ যে নেহাতই সিন্ধুতে বিন্দুর সমান তা মানছেন মেয়র।
শহরের নিত্যদিনের বর্জ্যের পাশাপাশি এখানে নদী দূষণের বড় কারণ প্রতিমা বিসর্জন। গত কয়েক বছরে বিসর্জন জনিত দূষণ রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে আগামী তিরিশ বছরের মধ্যে শুকিয়ে যেতে পারে গঙ্গা। দেশের প্রাণধারাকে ফের স্বচ্ছতোয়া করার ডাক দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রীও। সঙ্কল্প একটাই। গঙ্গাকে ফের দুষণ মুক্ত করা।