নির্যাতিত ৩৭ হাজার শরণার্থীকে নাগরিকত্বদানে কেন্দ্রে তালিকা পাঠাল যোগী সরকার
নেপাল সীমান্তের লাগোয়া পিলভিট। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু শরণার্থীরা সেখানে থাকেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দেশজুড়ে চালু করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরপরই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তালিকা পাঠাল উত্তরপ্রদেশ সরকার। পিলভিটের ৩৭,০০০ শরণার্থীর নাম রয়েছে ওই তালিকায়। যোগী আদিত্যনাথের সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত শরণার্থীরা।
পিলভিটে সমীক্ষা চালিয়েছেন জেলাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানিয়েছেন, ধর্মীয় হিংসার শিকার ৩৭,০০০ শরণার্থীকে সনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে আসা বহু বাঙালি। প্রাথমিক সমীক্ষার পর তালিকা তৈরি করেছে প্রশাসন। তা উত্তরপ্রদেশ সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নেপাল সীমান্তের লাগোয়া পিলভিট। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু শরণার্থীরা সেখানে থাকেন। এক শরণার্থীকে উদ্ধৃত করে এনএআই জানিয়েছে, ''আমরা পাকিস্তানে ভয়ে থাকছিলাম। ধর্মান্তরিত হতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আমরা মা, বোন ও স্ত্রী সেখানে নিরাপদ ছিলেন না। বাঁচতে ভারতে চলে এসেছিলাম। কিন্তু নাগরিকত্ব পাইনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনায় নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ। উনি আমাদের সম্মান দিয়েছেন।''
গত শুক্রবার দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯, ধারা ১, উপধারা ২ মেনে ১০, জানুয়ারি ২০২০ থেকে আইন কার্যকর করা হল। গত ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। নতুন সংশোধিত আইনে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের শিখ, হিন্দু, খৃষ্ট্রান, জৈন, বৌদ্ধ ও পারসিরা। শর্ত, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে তাঁরা ভারতে এসেছেন।
আরও পড়ুন- জাতীয়স্তরে NRC-CAA নিয়ে মমতার সঙ্গে দোস্তিতে আপত্তি নেই ইয়েচুরির