রাজ্যের পাওনাগণ্ডা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবিকে নস্যাত্ করে একরোখা মেজাজেই রাজধানী মাতালেন মুখ্যমন্ত্রী
দেশের অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের হয়ে কেন্দ্র-বিরোধী লড়াইয়ের ব্যাটন নিজের হাতেই তুলে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পাওনাগণ্ডা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবিকে নস্যাত্ করে একরোখা মেজাজেই রাজধানী মাতালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ঋণের ওপর সুদ মকুব নিয়ে শুধু বাংলার বঞ্চনাকেই তুলে ধরলেন না, অন্য রাজ্যের হয়েও ব্যাটিং করলেন টি টোয়েন্টি মেজাজেই।
ওয়েব ডেস্ক: দেশের অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের হয়ে কেন্দ্র-বিরোধী লড়াইয়ের ব্যাটন নিজের হাতেই তুলে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পাওনাগণ্ডা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবিকে নস্যাত্ করে একরোখা মেজাজেই রাজধানী মাতালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ঋণের ওপর সুদ মকুব নিয়ে শুধু বাংলার বঞ্চনাকেই তুলে ধরলেন না, অন্য রাজ্যের হয়েও ব্যাটিং করলেন টি টোয়েন্টি মেজাজেই।
আন্তঃরাজ্য পরিষদে ঝড় ওঠার সম্ভাবনা ছিলই। তৈরি হয়েই গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীর সামনে কেন্দ্রকে চেপে ধরার এই সুযোগ ছাড়তে রাজি ছিলেন না তিনি। কিন্তু বৈঠকে তাঁকে পুরো সময় বলার সুযোগই দেওয়া হল না বলে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের পাওনাগণ্ডার প্রশ্নে ঝড়ের পূর্বাভাস আঁচ করে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি করে আর্থিক সহায়তার পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্র-রাজ্য পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। এই বার্তাই দিতে চান নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যগুলিকে দেওয়া করের ভাগ বাড়ানোর পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেন তিনি।
কিন্তু তাতে বিশেষ চিঁড়ে ভেজেনি। বৈঠক থেকে বেরিয়েই রাজ্যগুলিকে বঞ্চনার প্রতিবাদে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ব্যাটন কার্যত তুলে নেন নিজের হাতে। এখানেই থেমে থাকেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় রাজ্যের সমস্ত বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালো সওয়াল করেন তিনি।
২০১৯-র লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে অবিজেপি শক্তিগুলিকে একছাতার তলায় আনতে আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠককেই কার্যত বেছে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।