টুজি কাণ্ডে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন খারিজ
শীর্ষ আদালতের মঙ্গলবারের নির্দেশেই ইঙ্গিত মিলেছিল। শনিবারের বারবেলায় পাতিয়ালা হাউসের বিশেষ সিবিআই আদালতের রায় আপাতত টুজি কেলেঙ্কারির তদন্ত থেকে নিষ্কৃতি দিল পালানিয়াপ্পন চিদম্বরমকে।
শীর্ষ আদালতের মঙ্গলবারের নির্দেশেই ইঙ্গিত মিলেছিল। শনিবারের বারবেলায় পাতিয়ালা হাউসের বিশেষ সিবিআই আদালতের রায় আপাতত টুজি কেলেঙ্কারির তদন্ত থেকে নিষ্কৃতি দিল পালানিয়াপ্পন চিদম্বরমকে। ২০০৮ সালের স্পেকট্রাম বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে তত্কালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন এদিন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক ও পি সাইনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি।
অভিযোগকারী তরফের বক্তব্য ছিল, ২০০৮ সালের টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে আন্দিমুথু রাজার পাশাপাশি তত্কালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পালানিয়প্পন চিদম্বরমও দায়ী। বক্তব্যের সমর্থনে তত্কালীন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজার সঙ্গে চিদম্বরমের বৈঠকের রেকর্ড এবং বর্তমান অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দফতরের তরফে প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে পাঠানো একটি নোটও পেশ করা হয়েছিল আদালতে। বৃহস্পতিবার স্পেকট্রাম বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ মেনে ১২২টি লাইসেন্স বাতিল করলেও চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হবে কি না, তা নিয়ে কোনও রায় দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক ও পি সাইনির এজলাসে। কিন্তু একই সঙ্গে তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে বিচারপতি জি এস সিংভি ও বিচারপতি অশোককুমার গাঙ্গুলিকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানায়, স্পেকট্রাম বিলির ব্যাপারে চিদম্বরমের সঙ্গে তৎকালীন টেলকমমন্ত্রী এ রাজা আলোচনা করেছিলেন, এমন কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ বিচারবিভাগের সামনে পেশ করতে পারেনি অভিযোগকারী পক্ষ।
বস্তুত, সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্যটুকু হাতিয়ার করেই `বেনিফিট অফ ডাউট`-এর আশা দেখেছিল চিদম্বরম শিবির। কার্যক্ষেত্রে হয়েছেও ঠিক তাই। বিচারক ও পি সাইনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, টুজি কেলেঙ্কারি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের প্রয়োজন নেই। নিঃসন্দেহে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের মুখে আদালতের এই সিদ্ধান্ত উজ্জীবিত করল কংগ্রেসকে। আর সেই সঙ্গেই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল বিজেপি-সহ বিরোধী শিবির। অভিযোগকারী পক্ষের তরফে বিশেষ আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদের মন্তব্য, "এই রায় চূড়ান্ত নয়। দেশে আরও আদালত রয়েছে"। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী কপিল সিব্বল এদিন পাতিয়ালা হাউস কোর্টের রায় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, ''আদালতের এই রায়ের পর বিরোধী পক্ষের উচিত চিদম্বরমের বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসা"।