মিডডে মিল কাণ্ড: ফরেন্সিক রিপোর্টে মিলল কীটনাশকের প্রমাণ
খাবারে কীটনাশকের উপস্থিতিই কেড়ে নিল ২৩টি শিশুর প্রাণ। ছাপরায় মিডডে মিল কাণ্ডের ফরেনসিক তদন্তে উঠে এল এই তথ্যই। অর্গানো ফসফোরাস নামক কীটনাশকের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে ওই মিড ডে মিল থেকে। শনিবার বিহারে এডিজি রবীন্দ্র কুমার সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
খাবারে কীটনাশকের উপস্থিতিই কেড়ে নিল ২৩টি শিশুর প্রাণ। ছাপরায় মিডডে মিল কাণ্ডের ফরেনসিক তদন্তে উঠে এল এই তথ্যই। অর্গানো ফসফোরাস নামক কীটনাশকের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে ওই মিড ডে মিল থেকে। শনিবার বিহারে এডিজি রবীন্দ্র কুমার সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
এই ঘটনায় মূল অভিযু্ক্ত স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা এবং তাঁর স্বামী এখনও পলাতক। অন্যদিকে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, মিডডে মিল খেলে অসুস্থ শিশুরা ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছে।
শুধু বিহার নয়। ছাপরার ধরমসতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩টি শিশুর মৃত্যু গোটা দেশের মিডডে মিল ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। মিডডে মিল খেলে এতগুলি শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বিহার সরকারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল, ইচ্ছাকৃতভাবে খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল। সরকারের রিপোর্টও বলছে, তেলে বিষক্রিয়ার জেরেও এই মর্মান্তিক ঘটনা। একই সঙ্গে চালেও কীটনাশকের নমুনা মিলেছে। তবে মিডডে মিল প্রকল্প কার্যকর করার ক্ষেত্রে যে একাধিক গলদ ছিল তাও মেনে নিয়েছে নীতিশকুমার সরকার। ধরমসতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসুস্থ শিশুরা এখন পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। সেখানকার চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছে ওই শিশুরা।
তবু এর মাঝেই নতুন বিপত্তি দেখা দেয় হাসপাতালে। এয়ারকণ্ডিশনারে গ্যাস লিকের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহু অভিভাবক অসুস্থ শিশুদের নিয়ে হাসপাতল থেকে বেড়িয়ে আসেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় বিপদ এড়ানো গেছে। অসুস্থ শিশু এবং তাঁদের অভিভাবকদের অনেকেরই অভিযোগ বহু শিশু খেতে না চাওয়া সত্ত্বেও প্রধানশিক্ষিকাই তাদের মিডডে মিলের খাবার খেতে বাধ্য করেছিলেন।
ধরমসতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকা এবং তার স্বামী এখনও পলাতক। প্রধানশিক্ষিকার স্বামীর দোকান থেকেই স্কুলে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হত। প্রধানশিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যে মিডডে মিলের গুণগত মানের ওপর সতর্ক নজরদারির নিদেশ দিয়েছে বিহার সরকার। তবে ছাপরার ঘটনার পর থেকে বিহারের বিভিন্ন স্কুলে মিডডে মিল নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বহু স্কুলেই পড়ুয়ারা আর মিডডে মিলের খাবার খেতে চাইছেন না।