শ্রীলঙ্কার ওয়েবসাইটে 'কুরুচিকর' নিবন্ধ নিয়ে উত্তাল সংসদ, সমন করা হল শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনারকে

  শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী জয় ললিতা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে লেখা কুরুচিকর নিবন্ধ নিয়ে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠল সংসদের উভয়কক্ষ। এআইডিএমকে-এর সাংসদরা এই নিয়ে কেন্দ্রের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করলেন।

Updated By: Aug 4, 2014, 03:38 PM IST
শ্রীলঙ্কার ওয়েবসাইটে 'কুরুচিকর' নিবন্ধ নিয়ে উত্তাল সংসদ, সমন করা হল শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনারকে

নতুন দিল্লি:  শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী জয় ললিতা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে লেখা কুরুচিকর নিবন্ধ নিয়ে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠল সংসদের উভয়কক্ষ। এআইডিএমকে-এর সাংসদরা এই নিয়ে কেন্দ্রের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করলেন।
 
কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু লোকসভায় এই নিবন্ধকে ''কুরুচিকর'', ''সম্পুর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও তীব্র সমালোচনার'' যোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন এই বিষয়ে দ্রুত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনারকে সমন করা হবে।

সংসদের উভয়কক্ষ প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ার এই নিয়ে তুমুল বিক্ষোভের জেরে স্থগিত হয়ে যায়।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তামিলনাড়ুর প্রধানমন্ত্রী জয়ললিতার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইল শ্রীলঙ্কা সরকার। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে এই দুইজনকে কেন্দ্র করে অতন্ত্য আপত্তি জনক একটি নিবন্ধ পোস্ট করা হয়। সেই নিবন্ধকে কেন্দ্র করে ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।   
 
ওই ওয়েবসাইটেই শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে মোদী ও জয়ললিতার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।
 
সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি  ''জয়ললিতার প্রেমপত্র মোদীর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?'' শীর্ষক নিবন্ধটি প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়াই নাকি ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে নিবন্ধটিকে ওয়েবসাইটটি থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

নিবন্ধটির সঙ্গে মোদীর সঙ্গে জয়ললিতার একটি ছবিও ছিল।

নিবন্ধটি পোস্ট হওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ভারতে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। পিএমকে, এমডিএমকে-এর মত বিজেপির জোটসঙ্গীরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলে।
 
এমনকি তামিলনাড়ুতে শাসক এআইডিএমকে-এর প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে-ও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে কাছ থেকে ক্ষমা দাবিও তোলা হয় তাদের পক্ষ থেকে।
 
 

 

.