Chandrayaan-3: চাঁদের মাটিতে অশোকস্তম্ভের চিহ্ন আঁকবে চন্দ্রযান-৩-এর রোভার...
Chandrayaan 3 Rover Pragyan Leave Imprints of National Emblem: চাঁদের বুকে জেগে থাকবে ভারতের চিহ্ন! কে আঁকবে এই চিহ্ন? চন্দ্রযান-৩। কী ভাবে? পুরোটাই জটিল যান্ত্রিক প্রক্রিয়া। কিন্তু এভাবেই ভারত চাঁদের বুকে তার চিহ্ন ছেড়ে আসবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চাঁদের বুকে জেগে থাকবে ভারতের চিহ্ন! কে আঁকবে এই চিহ্ন? চন্দ্রযান-৩। কী ভাবে? পুরোটাই জটিল যান্ত্রিক প্রক্রিয়া। কিন্তু এভাবেই ভারত চাঁদের বুকে তার চিহ্ন ছেড়ে আসবে। জাতীয় চিহ্ন। যে-চিহ্নের সঙ্গে গোটা দেশ একাত্ম বোধ করে। আসলে 'ইসরো'র এই তৃতীয় চন্দ্রাভিযানে রয়েছে দুটি জিনিস-- অশোক স্তম্ভ এবং 'ইসরো'র প্রতীক। চাঁদের মাটিতে শুধু বৈজ্ঞানিক তথ্যানুসন্ধানই নয়, ভারত সেখানে তার উপস্থিতিরও প্রমাণ দেবে। দেবে রোভার 'প্রজ্ঞানে'র মারফত।
আরও পড়ুন: Uttarakhand: ভেঙেছে সেতু, বাড়ছে মৃত্যু! বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গাও...
প্রজ্ঞানে পাঠানো হয়েছে অশোক স্তম্ভ এবং 'ইসরো'র প্রতীকছাপ। যার মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে এঁকে দেওয়া হবে সম্রাট অশোক নির্মিত সারনাথের সেই তিন সিংহ, যা ভারতের জাতীয় প্রতীক। পাশাপাশি আঁকা হবে 'ইসরো'র প্রতীকও।
'ইসরো'র তরফে জানানো হয়েছে প্রায় ৪০ দিন পরে আগামী ২৩/২৪ আগস্টের মধ্যে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। সেখান থেকে সৌরচালিত রোভার 'প্রজ্ঞান' বেরিয়ে পাকাপাকি ভাবে চাঁদের মাটি ছোঁবে। এটি চাঁদের মাটির চরিত্র, সেখানে খনিজ পদার্থের উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। আর এই কাজটা করতে গিয়ে চাঁদের যে-যে অঞ্চল দিয়ে প্রজ্ঞান চলাচল করবে সেখানে চাঁদের জমিতে সে এঁকে দেবে অশোকস্তম্ভ এবং 'ইসরো'র প্রতীক।
আরও পড়ুন: Farmer Becomes Crorepati: ম্যাজিক? এক লহমায় প্রায় ৩ কোটি রোজগার করে ফেললেন এক কৃষক...
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন ক'দিন আগেই, ১৪ জুলাই চন্দ্রযান-৩ বহনকারী স্পেসক্র্যাফ্ট লঞ্চ করল। এটিই ভারতের হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। তৈরি করা 'ইসরো' চাঁদে পাড়ি দেওয়ার আগে তাদের মহাকাশযান ধারণকারী পেলোড ফেয়ারিংকে জিওসিঙ্ক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক থ্রি-র সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেটের সঙ্গে পেলোড ফেয়ারিংয়ের জুড়ে দেওয়ার কাজটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারেই করা হয়েছে। প্রকল্পটি নিয়ে 'ইসরো' খুবই আত্মবিশ্বাসী ও উচ্ছ্বসিত। তারা জানিয়েছে, লুনার সারফেসে বা চাঁদের মাটিতে ঘোরার সময়ে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের ভূ-প্রকৃতি ও তার পরিবেশ নিয়ে 'ইন-সিটু কেমিক্যাল অ্যানালিসিস' চালাবে। বেরিয়ে আসবে নানা নতুন তথ্য।