তেলেঙ্গানা LIVE: অন্ধ্রের অন্ধকারের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করল বিজেপি
জগনমোহন রেড্ডির পর এবারে অন্ধ্রপ্রদেশ বিভাজনের প্রতিবাদে অনশন শুরু করলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। আজ সকাল থেকে দিল্লিতে অনশন শুরু করেন তিনি। তেলেগু দেশম পার্টির সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু এবার তোপ দাগলেন কেন্দ্রে খমতাসীন ইউপিএ সরকারের প্রতি।
৫টা ৫০: তেলেঙ্গানার উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন বিজেপি নেতা নির্মলা সিতারামন। তিনি বলেন, "কংগ্রেস সুস্থ ভাবে কিছুই করতে পারে না। যার ফলেই অন্ধ্রের এই অবস্থা হয়েছে।"
৫টা ২০: রাজধানী দিল্লিতে অনশনে বসতে পারবেন না চন্দ্রবাবু নাইডু। অন্ধ্র ভবনে অনশনে বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁকে।
৪টে ৫৫: প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সীমান্ধ্রার মন্ত্রীদের তলব ৭ আরসিআরে। থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডেও।
৩টে ৩০: রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করছেন অন্ধ্র প্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী এন কিরণ কুমার রেড্ডি। আলোচনা জগন ও এন চন্দ্রবাবু নাইডুর অনশন নিয়ে।
৩টে ১৫: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। ১০ জনের মন্ত্রিগোষ্টীকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই পৃথক তেলেঙ্গানা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে আসতে চলেছে নতুন রাজ্য সংক্রান্ত বিল।
৩টে ১০: তেলেঙ্গানা সমস্যা মেটাতে বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী নির্মান করল কেন্দ্র। সন্ধ্যে বৈঠক তাঁদের মধ্যে। বিকেল ৫টায় চিদাম্বরমের সঙ্গে দেখা করবেন সদস্যরা।
২টো ২৫: "আমি ধরনা দিতে দিল্লি এসেছি। আমি বিচার চাই।" দিল্লি পৌঁছে বললেন চন্দ্রবাবু নাইডু। কংগ্রেসের 'চোখ খুলতে' তিনি অনশন করছেন বলে জানিয়েছেন নাইডু।
অখণ্ড অন্ধ্রর দাবিতে অনশনে এ বার চন্দ্রবাবু নায়ডু, ধর্মঘটের জেরে বিদ্যুতহীন সীমান্ধ্র
জগনমোহন রেড্ডির পর এবারে অন্ধ্রপ্রদেশ বিভাজনের প্রতিবাদে অনশন শুরু করলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। আজ সকাল থেকে দিল্লিতে অনশন শুরু করেন তিনি। তেলেগু দেশম পার্টির সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু এবার তোপ দাগলেন কেন্দ্রে খমতাসীন ইউপিএ সরকারের প্রতি।
দিল্লিতে অনশনরত নাইডু জানালেন পৃথকরাজ্য তেলেঙ্গানা গঠন এবং তা পরবর্তী হিংসা কোনও প্রাদেশিক বিষয় নয়। সার্বিক ভাবেই এটি একটি জাতীয় ইস্যু। কংগ্রেস তার ইচ্ছামত এই ইস্যু নিয়ে ছড়ি ঘোরাতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
অখণ্ড অন্ধ্রের দাবিতে সোমবারও প্রতিবাদ বিক্ষোভ জারি রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। বিক্ষোভ ধর্মঘটের জেরে রবিবার থেকেই উপকূলবর্তী অন্ধ্র এবং রায়েলসীমায় বিদ্যুত পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুত কর্মীদের ধর্মঘটের জেরে বিজয়ওয়াড়া এবং কাডাপার তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্ধকারে ডুবছে সীমান্ধ্রের ছটি জেলা। আরও তেরোটি জেলা যে কোনও মুহূর্তে ডুবতে পারে অন্ধকারে।
কার্ফু এবং শ্যুট অ্যাট সাইটের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে পথে নেমেছেন দাবিদাররা। ফলে রবিবার ভিজিয়ানাগরম সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে।
তড়িঘড়ি করে তেলেঙ্গানার সিদ্ধান্ত পারতে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য ম্যাচ ফিক্সিং ছাড়া আর কিছু নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিল্লিতে অনির্দিষ্টকালীন অনশন শুরু করার আগে চন্দ্রবাবু নাইডু সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান যদি কংগ্রেস সত্যিই তেলেঙ্গানা প্রসঙ্গে সংবেদনশীল হত, যদি সত্যিই নিয়ম মেনে এই এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করত তাহলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকত। কংগ্রেসের `সুবিধাবাদী রাজনীতির` বিরোধিতা করে তিনি অন্ধ্রের সমস্ত দলকে চিঠিও লিখেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চন্দ্রবাবু।
অন্যদিকে সিপিআই নেতা ডি রাজা জানিয়েছেন রায়ালসীমা ও সীমান্ত অন্ধ্রে হিংসার জন্য কংগ্রেসই দায়ী। পরিস্থিতি সামলাতেই কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন ``পৃথকরাজ্য তেলেঙ্গানার দাবি স্বাধীনতাত্তর ভারতের অন্যতম প্রাচীন দাবি। কোনওধরণের গড়িমসি ছাড়াই কংগ্রেসের উচিত ছিল এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতি সামলাতে কংগ্রেস সার্বিকভাবে ব্যর্থ। যার ফলাফল রায়ালসীমা ও উপকূলবর্তী অন্ধ্রে হিংসা।