Centre on Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিবাহে আপত্তি কেন্দ্রের, সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল হলফনামা
সমলিঙ্গ বিবাহে ঘোর আপত্তি কেন্দ্রের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার উল্লেখ করে কেন্দ্রের মত, সমলিঙ্গ বিয়ে কখনই মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সমলিঙ্গ বিবাহে (Same Sex Marriage) ঘোর আপত্তি কেন্দ্রের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার উল্লেখ করে কেন্দ্রের মত, সমলিঙ্গ বিয়ে কখনই মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। সরকারের তরফে দায়ের করা হলফনামায় বলা হয়েছে, 'সমলিঙ্গের সম্পর্ককে ভারতীয় পারিবারিক সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ভারতীয় পরিবারের ধারণা হল স্বামী, স্ত্রী এবং তাদের সন্তান।' সমলিঙ্গ বিবাহে আইনি সিলমোহরের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একাধিক মামলা রুজু হয়েছে ৷
তবে শীর্ষ সেই আবেদনের বিরোধিতা করেছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের মতে, অংশীদার হিসাবে একসঙ্গে থাকা এবং সমলিঙ্গের ব্যক্তিদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক, ভারতের প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী। বিপরীত লিঙ্গের দু'জন মানুষের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতেই বিবাহ নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয় ৷ একটি পরিবারে একজন কর্তা থাকবেন, একজন কর্ত্রী থাকবেন এবং তাঁদের সন্তানরা থাকবে ৷
কেন্দ্র আরও বলেছে, সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে কিছু আইনি জটিলতাও তৈরি হবে। তাই সামাজিক কারণেই সমলিঙ্গের সম্পর্ককে আইনি বৈধতা দেওয়ার মানে এই নয় যে সমলিঙ্গের বৈবাহিক সম্পর্ককে বৈধতা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই ঐতিহাসিক রায়দানের মাধ্যমে সমলিঙ্গের সম্পর্ককে অপরাধমুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ব্রিটিশ জমানার বহু পুরোনো আইনকে প্রত্যাহার করে পাঁচ সদস্যের বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার আওতায় দু'জনের পূর্ণ সম্মতিতে সমলিঙ্গ সম্পর্ক অপরাধ নয়।
সংবিধানে যে ভারতীয় নাগরিকদের নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করার অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেই অধিকার এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের নাগরিকদেরও পাওয়া উচিত। সাম্প্রতিক সময়ে এমন দাবি জানিয়ে আইনে দ্বারস্থ হয়েছেন বহু সমলিঙ্গ যুগল। একাধিক পিটিশন দাখিল হয়েছে দিল্লি, গুজরাট এবং কেরলের উচ্চ আদালতে। সেই সমস্ত আবেদনই সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করা হতে চলেছে এবার।