কালো টাকার হদিশ পেতে অস্বাভাবিক লেনদেনগুলি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র

গরিবের অ্যাকাউন্টে কোটির খেলা। নোট বাতিলের ৫০ দিনে দেশজুড়ে হাজার হাজার কোটি টাকার জনধন দুর্নীতি। কালো টাকার হদিশ পেতে অস্বাভাবিক লেনদেনগুলি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।

Updated By: Feb 4, 2017, 06:57 PM IST
কালো টাকার হদিশ পেতে অস্বাভাবিক লেনদেনগুলি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র

ওয়েব ডেস্ক: গরিবের অ্যাকাউন্টে কোটির খেলা। নোট বাতিলের ৫০ দিনে দেশজুড়ে হাজার হাজার কোটি টাকার জনধন দুর্নীতি। কালো টাকার হদিশ পেতে অস্বাভাবিক লেনদেনগুলি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র।

দুর্নীতি ঠিক তার পথ খুঁজে নেয়। বলেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী ভাবতেও পারেননি, তাঁর জনধন প্রকল্পই দুর্নীতি পরায়ণদের হাতিয়ার হবে। তাই হয়েছে। নোট বাতিলের ব্যালান্স শিট মেলাতে গিয়ে এখন চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। ৫ বড় রাজ্যে জনধন কীর্তির খতিয়ানটা এরকম।

উত্তর প্রদেশে নোটবাতিলের আগে জনধনে জমা ছিল ৭ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। ৫০ দিন পর তা হয়েছে ১০ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।

পশ্চিমবঙ্গের জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে ৫০ দিনে জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ২২২৭ কোটি টাকা।

রাজস্থানে ১৮৯১ কোটি টাকা বাড়তি জমা হয়েছে জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে। পুরোটাই নোট বাতিলের সময়।

মোদীর রাজ্য গুজরাতেও জনধনে চোখ কপালে তোলা বিনিয়োগ। ৫০ দিনে বাড়তি জমা হয়েছে ১৫৩০ কোটি টাকা।

বিহারের জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে ওই ৫০ দিনে জমা হয়েছে অতিরিক্ত ১৭৩২ কোটি টাকা।

অর্থাত্‍ দেশের ৫টি বড় রাজ্যের জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা হয়েছে অতিরিক্ত প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এই অঙ্ক অস্বাভাবিক। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাতিল নোটগুলি মানুষ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করবেন এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে জনধন অ্যাকাউন্টের গ্রাহকরাও তাঁদের সংগ্রহে বাতিল নোট ব্যাঙ্কে জমা করবেন। কিন্তু, কাগজে কলমে নিম্নমধ্যবিত্ত গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে টাকার অঙ্ক চোখ কপালে তুলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। অর্থাত্‍ গরিব মানুষকে লোভ দেখিয়ে তাঁদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে কালো টাকার কারবারিরা। কোনও ক্ষেত্রে গ্রাহককে না জানিয়েই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আঙুল উঠছে ব্যাঙ্ককর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। কেন্দ্র নিশ্চিত, কোনও ব্যাঙ্ককর্মীর প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া জনধন দুর্নীতি সম্ভব নয়। অর্থমন্ত্রী লোকসভায় জানিয়েছেন দুর্নীতির প্রমাণ মেলায়,

দেশজুড়ে ১৫৬ জন ব্যাঙ্ককর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ৪১ জনকে বদলি করা হয়েছে। এবং ২৬ টি মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। কালো টাকা ছেঁকে তুলতে প্রতিটি অ্যাকাউন্ট খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, জনধন দুর্নীতি ধরতে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে যেসব অ্যাকাউন্টে সেগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর অ্যাকাউন্টের গ্রাহককে ডেকে পাঠিয়ে টাকার উত্‍স্য জানতে চাওয়া হবে। দুর্নীতি ধরা পড়লে বেনামি সম্পত্তি আইনে মামলা করার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের। কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযান থামবে না। নগদে জমা হোক, বা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। কালো টাকা ধরা পড়বেই। দাবি করছে মোদী সরকার।

.