ব্যবসায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করায় ১৪টি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাকে আর্থিক জরিমানা সিসিআই-এর

যন্ত্রাংশ বিক্রি এবং গাড়ি বিক্রয়ের পরে সার্ভিসিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনৈতিক উপায় নেওয়ার জন্য ১৪টি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে আর্থিক জরিমানা করল কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বা সিসিআই।

Updated By: Aug 26, 2014, 12:20 PM IST
ব্যবসায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করায় ১৪টি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাকে আর্থিক জরিমানা সিসিআই-এর

ব্যুরো: যন্ত্রাংশ বিক্রি এবং গাড়ি বিক্রয়ের পরে সার্ভিসিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনৈতিক উপায় নেওয়ার জন্য ১৪টি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে আর্থিক জরিমানা করল কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া বা সিসিআই।

জরিমানার মোট অঙ্ক ২ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা।গাড়ি রাখলে তার রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন। কারণ গাড়ি এমনই একটি জিনিস, যা চললে বিগড়েবেই। আর তখনই বিকল হওয়া যন্ত্রাংশ বদলের জন্য গাড়ি নিয়ে ক্রেতাকে যেতে হয় গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার কিম্বা নিকটবর্তী কোনও গ্যারেজে। গাড়ি যদি ওয়্যারেন্টির মধ্যে থাকে, তখন ক্রেতারা চান অথারাইজড সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে। তাতে কিছুটা সাশ্রয় হয় কারণ লেবার চার্জ লাগে না। কিন্তু সেখানে গিয়েও নিশ্চিন্ত হওয়ার জো নেই। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারেও মিলছে না স্পেয়ার পার্টস। ফলে সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতারা।

আবার যাঁরা গাড়ি নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্থানীয় কোনও গ্যারাজে, তখনও দেখা যাচ্ছে, যে যন্ত্রটি খারাপ, খোলা বাজারে সংশ্লিষ্ট গাড়ির সেই যন্ত্রটি পাওয়া যাচ্ছে না। তখনও একই রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। বিষয়টি নজরে আসে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার। দুশো পনেরো পাতার একটি নির্দেশিকায় স্পেয়ার পার্টস বিক্রি এবং বিক্রয়ের পরে গাড়ির সার্ভিসিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনৈতিক উপায় নেওয়ার জন্য তারা চোদ্দোটি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাকে আর্থিক জরিমানা করেছে। যার মোট অঙ্ক দু হাজার পাঁচশো পঁয়তাল্লিশ কোটি টাকা ।অর্থাত্‍ প্রতিটি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার বার্ষিক আয়ের দু শতাংশ। চোদ্দোটি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা হল মারুতি সুজুকি, টাটা মোটর্স, হন্ডা সিয়েল কার্স ইন্ডিয়া, ফোক্সওয়্যাগন ইন্ডিয়া, ফিয়াট ইন্ডিয়া অটোমোবাইল্স, বিএম ডব্লু ইন্ডিয়া, ফোর্ড ইন্ডিয়া, জেনেরাল মোটর্স ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান মোটর্স, স্কোডা অটো ইন্ডিয়া এবং টয়োটা কিরলোস্কর মোটর। সিসিআই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, নোটিস পাওয়ার দু মাসের মধ্যে জরিমানার টাকা জমা দিতে হবে। তবে এই রিপোর্ট নিয়ে কোনও গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাই প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সিসিআই তাদের রিপোর্ট সাফ উল্লেখ করেছে, অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারের সঙ্গে আসল যন্ত্রাংশ পাঠানোর চুক্তি থাকলেও বহু গাড়ি প্রস্তুকারক সংস্থাই তা করছে না। খোলা বাজারেও তারা তাদের গাড়ির স্পেয়ার পার্টস ছাড়ছে না।ফলে গাড়ি মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা বাড়ছে বলে দাবি সিসিআইয়ের। অথচ ইউরোপের বাজারে এইসব সংস্থাগুলির অরিজিনাল স্পেয়ারপার্ট পাওয়া যায়।  

 

.