চিটফান্ড সংস্থা মাইক্রোফিন্স ও সানমার্গের অফিসে সিবিআই হানা, উদ্ধার নথি
ফের চিটফান্ড সংস্থার অফিসে সিবিআইয়ের হানা। এবার রেডারে সুরাহা মাইক্রোফিন্স ও সানমার্গ। কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে পনেরোটি জায়গায় তল্লাসি চালাল সিবিআই। তল্লাসি হল গয়া, মুম্বইতেও।
ব্যুরো: ফের চিটফান্ড সংস্থার অফিসে সিবিআইয়ের হানা। এবার রেডারে সুরাহা মাইক্রোফিন্স ও সানমার্গ। কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে পনেরোটি জায়গায় তল্লাসি চালাল সিবিআই। তল্লাসি হল গয়া, মুম্বইতেও।
সুরাহা মাইক্রো ফিনান্স আর সানমার্গ ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি। এই দুয় নামের আড়ালে রমরমা চিটফান্ডের ব্যবসা ফেদে বসেছিলেন জয়নগরের দিলীপ রঞ্জন নাথ।
২০০৪ সালে রেজিস্ট্রেশন করা হয় সুরাহা মাইক্রো ফিনান্সের। ২০০৯ থেকে বাজারে টাকা তোলা শুরু করে তারা। পশ্চিমবঙ্গ সহ এগারোটি রাজ্যে ব্যবসা ফেঁদে বসে এই সংস্থা। সারদা কেলেঙ্কারির পর রাজ্যে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০১৪-র ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে টাকা তুলেছে এই সংস্থা। মোটা টাকা সুদ দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তুলত এই সংস্থা। চ্যারিটেবেল সোসাইটির নামেও প্রচুর টাকা তোলা হয়। ২০১৪-তে এই সংস্থাকে নোটিশ পাঠায় সেবি।
সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইনের চোখে ধুলো দিতে একাধিরবার নাম বদল করা হয় এই সংস্থার। বদল করা হয় সংস্থার ডিরেক্টরদের নামও। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশায় এই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। সংস্থার এক কর্তা জয়দেব অধিকারী এখন মধ্যপ্রদেশের জেলে। শুক্রবার তল্লাসি চালানো হয় সংস্থার মালিক
দিলীপ রঞ্জন নাথের বাড়ি ও অফিসে । উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথিপত্র। সিবিআই তল্লাসি চালায় হাওড়ায় গনেশ ঝাঁ নামে সংস্থার আরেক কর্তার বাড়িতে। দমদমে সংস্থার কর্তা রথীন সেনের বাড়িতেও তল্লাসি চলে। তবে দিলীপ রঞ্জন নাথ সহ তিনজনই পলাতক। এদের সঙ্গে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।