শিক্ষা ও অর্থই বাড়াচ্ছে ডিভোর্সের সংখ্যা, মন্তব্য করে বিতর্কে মোহন ভাগবত

সংঘপ্রধান এক বিবৃতিতে বলেন, পরিবার ভাঙছে। পরিবার ভাঙছে মানে সমাজও ভাঙছে

Updated By: Feb 17, 2020, 03:14 PM IST
শিক্ষা ও অর্থই বাড়াচ্ছে ডিভোর্সের সংখ্যা, মন্তব্য করে বিতর্কে মোহন ভাগবত

নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষা বাড়াচ্ছে ডিভোর্সের সংখ্যা! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও রবিবার এমনই মন্তব্য করেছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।

আরও পড়ুন-সেনাবাহিনীর স্থায়ী পদে এবার মহিলারাও, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

সংঘপ্রধান এক বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষিত ও বিত্তশালী পরিবারে ডিভোর্সের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষা ও অর্থ তাদের উদ্ধত করে তুলছে।  এর ফলেই পরিবার ভাঙছে। পরিবার ভাঙছে মানে সমাজও ভাঙছে।

ভাগবত আরও বলেন, সংঘের সদস্যদের বলব নিজেদের কাজকর্মের ব্যাপারে পরিবারের লোকজনকে জানান। কেননা পরিবারের মেয়েদের ওপরে সবসময়ই পুরুষদের থেকে বিভিন্ন ভাবে সামাজিক চাপ তৈরি হয়ে থাকে। তারা সাবধান হতে পারবে। হিন্দু সমাজের উচিত জোটবদ্ধ থাকা। সমাজ কোনও একজন ব্যক্তির নয়। তাই সবার পরিচিতির ওপরেই সমাজের পরিচিতি নির্ভর করে।

আরএসএস প্রধান ওই বিবৃতিতে আরও বলেছেন, আমি হিন্দু। হিন্দু ধর্মের সঙ্গে দেশের যেসব জায়গার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সেসব জায়গাকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমি এই সংস্কার পেয়েছি আমার পরিবারের কাছ থেকে। সমাজের অর্ধকটাই জুড়ে রয়েছেন মহিলারা। এদের শিক্ষিত করে তোলা উচিত। তাই তাদের ব্যাপারে আমরা যত্ন না নিলে তারা যেমন বাঁচবে না তেমনি আমাদের সমাজও বাঁচবে না।

আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা জোটে ফাটল! জরুরি বৈঠক ডাকলেন পাওয়ার

বিবৃতির পাশাপাশি, আরএসএস কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের এক সমাবেশে মেয়েদের ঘরে রাখার পক্ষে সওয়াল করেন ভাগবত। গত ২০০০ বছর আগে ঘরে থাকতেন মেয়েরা। সেই সময়টাই ছিল সামাজের স্বর্ণ যুগ।

মোহন ভাগবতের ওই মন্তব্যের পর সুর চড়িয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর। এক টুইটে তিনি বলেন, ভাগবতের ওই মন্তব্য অত্যন্ত বিদ্বেষপূর্ণ। এরকম বোকাবোকা মন্তব্য করে কারা!

 

.