কাল অনশনে বসছেন জগনমোহন, পদত্যাগ পল্লম রাজুর

তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্তের পর ৭২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সিমানধ্র অঞ্চলে বনধ পালিত হচ্ছে। এদিন সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে।

Updated By: Oct 4, 2013, 10:25 AM IST

১২টা ৫৫: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী এমএম পল্লম রাজু। মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দেবেন তিনি। ওইয়াএসআর কংগ্রেস নেতা জগনমোহন রেড্ডি জানিয়েছেন, "অন্ধ্রের অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের এগিয়ে আসা উচিত। কাল আমার প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাচ্ছেন।
১২টা ৩৫: আমরা চাই দেশ ভাবতে শুরু করুক। অন্ধ্রপ্রদেশের সঙ্গে অবিচার হয়েছে: জগন।
১২টা ৩৩: অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ওয়াই এস আর কংগ্রেস প্রধান জগনমোহন রেড্ডির।
১১টা ৫৫: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পল্লম রাজুর। তেলেঙ্গানা রাজ্যে সবুজ সংকেত দেওয়ায় ইউপিএ সরকারের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজুর সরে আসার সিদ্ধান্ত। পদত্যাগী মন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্রীয় মন্ত্রক আমাদের প্রতিবাদের কারণ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। রাজ্যের মনুষের মতকেও প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। এটা রাজ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।"
১১টা ৪৫: পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিকে সবুজ সংকেত দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেন সাংসদ এল রাজাগোপাল। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।
তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্তের পর ৭২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সিমানধ্র অঞ্চলে বনধ পালিত হচ্ছে। এদিন সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে।
তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের প্রস্তাবকে সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট। আগামী ১০ বছর হায়দরাবাদ হবে সীমান্ধ্র এবং তেলেঙ্গানা দুই রাজ্যেরই রাজধানী। অন্ধ্রপ্রদেশের বিভাজন প্রক্রিয়া কীভাবে এগোবে তার রূপরেখা স্থির করতে একটি বিশেষ মন্ত্রীগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে।  ২০০৯ সালে পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন তত্‍কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। দু মাস আগে তাতে সিলমোহর দিয়েছে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি।
পৃথক তেলেঙ্গানা গঠন নিয়ে সরকার যে আর সময় নষ্ট করতে চাইছে না, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। মার্কিন সফর সেরে দেশে ফেরার পর অর্ডিন্যান্সের পাশাপাশি এই ইস্যুকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি। আর তারই প্রতিফলন বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তে। পৃথক তেলেঙ্গানা গঠনের প্রস্তাবে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসেছিল ক্যাবিনেট। পৃথক রাজ্যগঠনের কাজ কত তাড়াতাড়ি করা যায়, সেটা দেখবে একটি বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী।

.