লোকপাল বিলে অনুমোদন কেন্দ্রের, বৃহস্পতিবার সংসদে পেশ
বিরোধীদের সম্মিলিত দাবিতে শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদকে লোকপালের আওতায় আনলেও বাদ রইল সিবিআই। টিম আন্নার লাগাতার চাপ সত্বেও মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত লোকপাল বিলের খসড়ায় সিবিআই-কে লোকপালের বাইরে রাখা হয়েছে।
বিরোধীদের সম্মিলিত দাবিতে শর্তসাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদকে লোকপালের আওতায় আনলেও বাদ রইল সিবিআই। টিম আন্নার লাগাতার চাপ সত্বেও মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত লোকপাল বিলের খসড়ায় সিবিআই-কে লোকপালের বাইরে রাখা হয়েছে।
লোকপাল বিল সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করাতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের মেয়াদ আরও তিনদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পবনকুমার বনশল জানিয়েছেন, আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর সংসদের অধিবেশন চলবে। ওই সময়ের মধ্যেই সংসদে লোকপাল বিল পাস করানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
তবে টিম আন্নার তরফে এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাবিত নয়া লোকপাল বিলের খসড়া নাকচ করা হয়েছে। সিবিআই-কে লোকপালের আওতায় না আনায় ক্ষুব্ধ আন্না হাজারে আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে তিনদিনের অনশন কর্মসূচি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে দেশব্যাপী 'জেল ভরো' আন্দোলন।
এদিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকে লোকপাল বিল-এর খসড়ায় অনুমোদনের সিলমোহর দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সংসদে লোকপাল বিল পেশ করতে চলেছে সরকার। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের তরফ থেকে হুইপ জারি করে দলীয় সাংসদদের আগামী কয়েকদিন সংসদে উপস্থিত থেকে পেশ করা সব বিল সমর্থন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লোকপাল বিলের সঙ্গেই দুর্নীতির ঘটনা যারা সামনে নিয়ে আসছেন (হুইসেল ব্লোয়ার) তাঁদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিলটি নিয়েও আলোচনা করা হবে। বিচারবিভাগের দায়বদ্ধতা সংক্রান্ত বিলটিকেও চলতি অধিবেশনেই পাস করানো হবে বলে জানিয়েছেন বনশল। এদিন পূর্বনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহের সঙ্গেই পেশ হয়েছে বহুচর্চিত 'সিটিজেন্স চার্টার বিল'। চলতি অধিবেশনে এই বিলদু'টিও পাস হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই।
এসবের মধ্যেই আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সংসদে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব এনেছে বিজেপি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী এস পি গুপ্তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য দিল্লি পুলিসকে নির্দেশ অভিযোগ তুলেছে মিডিয়ার একাংশ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ শিবির।