খরচ বাড়ছে, ব্রহ্মপুত্রের উপর রেলব্রিজের কাজ আজও চলছে
বর্ষায় প্রতিবারই দিশা পাল্টে ভয়ঙ্কর আকার নেয় ব্রহ্মপুত্র। বন্ধ হয়ে যায় পূর্ব অসমের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ১৯৯৭ সালে বহ্মপুত্র নদের ওপর ৪.৯৪ কিলোমিটার অংশে রেল তথা রোডব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বর্ষায় প্রতিবারই দিশা পাল্টে ভয়ঙ্কর আকার নেয় ব্রহ্মপুত্র। বন্ধ হয়ে যায় পূর্ব অসমের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ১৯৯৭ সালে বহ্মপুত্র নদের ওপর ৪.৯৪ কিলোমিটার অংশে রেল তথা রোডব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও এখনও শেষ হয়নি প্রকল্পের কাজ।
প্রকল্পটি রুপায়িত হলে শুধু উত্তর ও দক্ষিণ অসমই নয় লাভবান হবে অরুণাচল প্রদেশও। ব্রিজটি তৈরি হলে উন্নত হবে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও। প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জানালেন, ব্রিজটি তৈরি হয়ে গেলে সরাসরি যুক্ত হবে ৫২ ও ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। ব্যবসা-বাণিজ্যেরও সুবিধে হবে। উত্তর অসমের মানুষ পাবেন উন্নত মানের পরিকাঠামো। প্রকল্প রূপায়িত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হতো যার সুফল পেত সেনাবাহিনীও। সেনা তত্পরতার কাজে সহায়ক হত উন্নত পরিকাঠামো।
২০০৭-এ এটিকে জাতীয় প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নানা কারণে প্রকল্পটি শেষ হয়নি আজও। সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় বেড়ে গেছে প্রকল্পের খরচও। নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রকল্পটি শুরুর বছরের প্রস্তাবিত খরচ যা ছিল এই কয়েক বছরে বছরে তা বেশ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ২০০০-২০০১ সালে খরচের পরিমান ছিল ০.২৬ কোটি টাকা। পরের বছরেই অর্থাত্ ২০০১-২০০২ তা এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ৯.১১ কোটি টাকায়। এভাবেই বাড়তে বাড়তে বর্তমানে এই প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ধার্য হয়েছে ৩২৩০.০২ কোটি টাকা। বৃষ্টির জন্য বছরে কাজ হয় মাত্র ৪ মাস। তা সত্ত্বেও ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে সাউথ ব্যাঙ্ক রেললিঙ্ক। শুরু হয়েছে নর্থ ব্যাঙ্ক রেললিঙ্কের কাজও। ২০১৫-র মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা বলা হলেও আদৌ তা হবে কী না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সন্দিহান সংশ্লিষ্ট মহল।